দেশে ভ্যাক্সিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের প্রস্তাব ডা. জাফরুল্লাহর

বাংলাদেশের গণমুখী চিকিৎস্য সেবা প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আজ রাশিয়ার সহযোগিতা নিয়ে কিউবা ও ইরান ভ্যাকসিন তৈরি করছে। বাংলাদেশ যদি চায় তাহলে আমরাও নিজেরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবো। আমাদের টার্গেট হওয়া উচিত ছয় মাসের মধ্যে আমাদের নিজস্ব ভ্যাকসিন তৈরি করা।

আজ (শনিবার) রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে গণ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এমন আশার কথা শোনান ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, দেশে যে সব দক্ষ লোকজন আছেন তাদের দিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি হবে। বক্তৃতা না দিয়ে দ্রুত প্রদক্ষেপ নেয়া দরকার। এই একটা কাজ করলেও প্রধানমন্ত্রী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, একটা ভ্যাকসিন তৈরি করতে আধা ডলারের বেশি খরচ হয় না। তার জন্য নূন্যতম ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। দেশে যারা ব্যবসায়ী আছেন তারা ইচ্ছা করলে ৭ দিনের মধ্যে ৫০ কোটি টাকা জোগার করে দিতে পারেন। এতদিন যারা দেশ শোষণ করেছেন তারা ভালো একটা কাজ করতে পারেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণ বিশ্ববিদ্যালয় অনু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা: বিজনকুমার শীল।

তিনি বলেন, ডেল্টা ভাইরাসের সাথে ফ্ল ভাইরাসের যথেষ্ট মিল রয়েছে এবং এটি খুব দ্রত সময়ের মধ্যে ছড়ায়। ফলে পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে বাকি সবাই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ভাইরাসের ভয়াবহতা রোধে কেউ একজন আক্রান্ত হলে তার নিকটজন সবাইকে পরীক্ষা করতে হবে, হাচিঁ কাশি দেয়ার সময় অবশ্যই কাপড় বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন,  নিয়মিত মাস্ক পরিধান এবং ভ্যাকসিন গ্রহণের কোন বিকল্প নেই । আক্রান্ত রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

ডেল্টা ভাইরাসের চিকিৎসার মতো ড্রাগস বিশ্ববাজারে বিদ্যমান আছে। এছাড়া জিংকের সমন্বয়ে তৈরি ভিটামিন সি গ্রহণ করে ডেল্টা ভাইরাস প্রতিরোধ সম্ভব। সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও এ ধরণের ভিটামিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে অনুমোদন দেয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লায়লা পারভীন বানুর সভাপতিত্বে জুমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ সাবেক ভিসি ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডাঃ  নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, পিএইচসি'র সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জাকির হোসেন,বিএসএমএমইউ'র ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান, আইইডিসিআর উপদেষ্টা ডা: মোস্তফা হোসেন, স্বাস্থ্য বাতায়ন প্রধান ডাঃ নিজাম উদ্দীন আহমেদ।#

পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।