বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ড
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i99776-বাংলাদেশের_সাবেক_প্রধান_বিচারপতি_এস_কে_সিনহার_১১_বছরের_কারাদণ্ড
বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এর মধ্যে মানি লন্ডারিংয়ে সাত বছর আর অর্থ আত্মসাতের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
নভেম্বর ০৯, ২০২১ ১৬:৪৬ Asia/Dhaka
  • সুরেন্দ্র কুমার সিনহা
    সুরেন্দ্র কুমার সিনহা

বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এর মধ্যে মানি লন্ডারিংয়ে সাত বছর আর অর্থ আত্মসাতের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন।

মামলার রায়ে এসকে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে অপর ১০ আসামির মধ্যে ২ জনকে খালাস এবং ১ জনকে ৪ বছর এবং অপর সাত জনের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রধান বিচারপতিকে নিম্ন আদালতে দণ্ড দেওয়া হল।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে তিনি বিদেশে অবস্থান করছে।

ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা করা হয়। মামলার বাদী দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। গত বছরের ১৩ আগস্ট মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

এর পর মামলায় এস কে সিনহা সহ চারজন অভিযুক্তকে পলাতক দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরে আদালত তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। এরপর তাদের সম্পদ ক্রোকসহ জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়। এরপরই তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হয়।

এর পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর এই মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হবার পর রায় ঘোষণার জন্য ৫ অক্টোবর তারিখ ধার্য করা হয়। কিন্তু বিচারক শেখ নাজমুল আলম ছুটিতে থাকায় সেদিন মামলার রায় ঘোষণা করা হয়নি।

এর পর ৫ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন রায় ঘোষণার জন্য ২১ অক্টোবর ধার্য করেন। সেদিন রায় ঘোষণার জন্য ৯ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম। সে অনুযায়ী আজ রায় ঘোষিত হলো।

বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন তৎকালীন ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতি, ফারমার্স ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ক্রেডিটপ্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীম, সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট লুৎফুল হক, গুলশান শাখার ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউদ্দিন আসকারী, এস কে সিনহার কথিত পিএস রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও রণজিতের স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

মামলার আসামিদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন মাহবুবুল হক চিশতী। আর বাকি ছয়জন জামিনে। অন্যদিকে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক রয়েছেন। মামলায় খালাস পাওয়া দুজন হলেন মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।#

পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।