রাফায় ইসরাইলি হামলা বন্ধের আবেদনের ওপর হেগের আদালতে শুনানি চলছে
https://parstoday.ir/bn/news/event-i137706-রাফায়_ইসরাইলি_হামলা_বন্ধের_আবেদনের_ওপর_হেগের_আদালতে_শুনানি_চলছে
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফায় চলমান গণহত্যা বন্ধের নিদের্শ চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার করা এক আবেদনের ওপর আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে দুই দিনের শুনানি শুরু করেছেন জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত। হেগ ভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বা আইসিজে-তে গত শুক্রবার এ সংক্রান্ত আবেদন করা হয়। রাফাতে ১০ লাখের বেশি বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।  
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মে ১৬, ২০২৪ ২০:৫০ Asia/Dhaka
  • রাফায় ইসরাইলি হামলা বন্ধের আবেদনের ওপর হেগের আদালতে শুনানি চলছে

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফায় চলমান গণহত্যা বন্ধের নিদের্শ চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার করা এক আবেদনের ওপর আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে দুই দিনের শুনানি শুরু করেছেন জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত। হেগ ভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বা আইসিজে-তে গত শুক্রবার এ সংক্রান্ত আবেদন করা হয়। রাফাতে ১০ লাখের বেশি বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।  

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি বাহিনী নির্বিচার হামলা শুরু করার পর লাখ লাখ ফিলিস্তিনি পালিয়ে সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় আশ্রয় নেন। এখন উপত্যকাটির প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীর আবাস এ শহরেও ইসরাইলি বাহিনী হামলা শুরু করেছে। সেখানে প্রতিদিনই বহু ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা তার আবেদনে রাফা থেকে ইসরাইলকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিতে আইসিজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া গাজায় জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কর্মী ও সাংবাদিকদের নির্বিঘ্ন প্রবেশের পদক্ষেপ নিতে এবং এসব দাবি কীভাবে পূরণ করা হচ্ছে, সে বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে আদালতের কাছে আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাফায় ইসরায়েলি অভিযান মানবিক সহায়তা ও মৌলিক পরিষেবা, ফিলিস্তিনি চিকিৎসাব্যবস্থা টিকে থাকা ও ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে চরম ঝুঁকির সৃষ্টি করছে। আবেদনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা কনভেশন ক্রমাগত লঙ্ঘন করার অভিযোগও করা হয়েছে।

গত জানুয়ারিতে এই আদালতের বিচারপতিরা গাজায় হত্যাকাণ্ড, ধ্বংসযজ্ঞ ও যেকোনো ধরনের গণহত্যামূলক কাজ প্রতিরোধে ইসরাইলকে সবকিছু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু উপত্যকাটিতে হামলা বন্ধ করা নিয়ে কোনো আদেশ দেননি। তবে গণহত্যামূলক কাজ প্রতিরোধের নির্দেশকেও কোনো গুরুত্ব দেয়নি দখলদার ইসরাইল।

ইসরাইলি বাহিনীর নারকীয় হামলায় ইতিমধ্যে গাজার বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া শহীদ হয়েছেন ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু।

আন্তর্জাতিক আদালত রাফায় ইসরাইলি হামলা বন্ধের নির্দেশ দিতে পারে এমন আশঙ্কায় ইসরাইলি নেতারা উদ্বিগ্ন বলে হিব্রু ভাষার বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে।#  

পার্সটুডে/এসএ/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।