জুন ১৫, ২০২৪ ০৯:৫৫ Asia/Dhaka
  • ইসরাইলি বোমাবর্ষণে আরো ২ পণবন্দি নিহত হয়েছে: হামাস

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের নিরবচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণে আরো দুই ইসরাইলি পণবন্দি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

হামাসের সামরিক বাহিনী ‘ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড’ তাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছে, গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় কয়েকদিন আগে ইসরাইলি বোমাবর্ষণে ওই দুই পণবন্দি নিহত হয়েছে।

তবে নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেনি হামাস। ভিডিওতে ইসরাইলি অভিবাসীদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছে, “তোমাদের সরকার তোমাদের পণবন্দিদের জীবিত নয় বরং তাদের কফিন ফেরত নিতে চায়।”

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আল-আকসা তুফান অভিযান চালায় হামাসের নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো। সেদিন প্রায় ২৫০ ইসরাইলিকে আটক করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গত ৭৫ বছরের ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ ও দমন অভিযানের প্রতিশোধ নিতে আল-আকসা তুফান অভিযান চালায় হামাস।

গত বছরেই নভেম্বরে এক সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাস ১০৫ ইসরাইলি পণবন্দিকে আপোষে মুক্তি দেয়।  এখনও গাজায় একশ’র বেশি ইসরাইলি পণবন্দি আটক আছে বলে মনে করছে তেল আবিব যাদের মধ্যে অন্তত ৭০ জন জীবিত রয়েছে।

হামাস বেশ কয়েক মাস ধরে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে আসছে যে, গাজায় ইসরাইলি ভয়াবহ বোমাবর্ষণে শুধু ফিলিস্তিনি জনগণই নিহত হচ্ছে না সেইসঙ্গে ইসরাইলি পণবন্দিরাও বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে।

গত ৪ জুন গাজার মধ্যাঞ্চলীয় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে এক প্রতারণামূলক অভিযান চালিয়ে নিজের চারজন পণবন্দিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ইহুদিবাদী বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই অভিযানের সময় নুসেইরাত শিবিরে ভয়াবহতম গণহত্যা চালায় ইসরাইলি সেনারা। সেদিন তাদের নির্বিচার হামলায় অন্তত ২৫০ ফিলিস্তিনি নিহত ও কয়েকশ’ মানুষ আহত হন।  হামাস বলেছে, ওই অভিযানের সময় ইসরাইলি বোমাবর্ষণে অপর তিন পণবন্দি নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিক।#

পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/১৫

ট্যাগ