জুন ১৫, ২০২৪ ১৮:০৯ Asia/Dhaka
  • ওবায়দুল কাদের
    ওবায়দুল কাদের

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কোনো ধরনের হামলা হলে সরকার কাউকে ছেড়ে দেবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  

আজ (শনিবার) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সেন্ট মার্টিন দখল হয়ে গেলে বাংলাদেশ কোন প্রক্রিয়ায় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে এমন প্রশ্নে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “আমরা আক্রান্ত হলে সেই আক্রমণের জবাব দেব। আমরা আমাদেরকে এত খাটো করে দেখি কেন? আমরাও প্রস্তুত আছি। আমরা আক্রমণ করব না। কিন্তু আক্রমণ হলে কি আমরা ছেড়ে দেব? আক্রান্ত হলে প্রতিরোধ করতে হবে।" 

ওবায়দুল কাদের বলেন, "মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। আলাপ-আলোচনার দরজা খোলা আছে। আমরা কথা বলতে পারি। যতক্ষণ কথা বলা যাবে, আলাপ-আলোচনা করা যাবে, আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি এবং করে যাবো। আমাদের যেন কোনো উস্কানি না থাকে। আমরা যুদ্ধ চাই না।"

কাদের বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কিছু সংঘর্ষ আছে। ৫৪টা কমিটি রয়েছে। এদের সাথে কারো মিল নেই। রাখাইন-আরাকান বিদ্রোহীরা প্রকাশে বিদ্রোহ করে যাচ্ছে। ওদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জন্য আমরা যদি সাফার করি, সেটাও তো অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বর্তমান (মিয়ানমার) সরকার মিলিটারি গভর্নমেন্ট। তাদের সাথে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। আলাপ আলোচনার দরজা এখনো খোলা আছে। আমরা কথা বলতে পারি। যতক্ষণ কথা বলা যাবে, আলাপ আলোচনা করা যাবে, উই আর নট এ মুভ ডাউন, এমন পর্যায় না হলে আমরা আলাপ আলোচনা মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি এবং করে যাব।"

এ সময় জাতিসংঘের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “দুঃখজনক। জাতিসংঘ এখন নখদন্তহীন। তাদের কথা ইসরাইল শোনে না। বড় বড় দেশগুলোও শোনে না।”

গত ৫, ৮ এবং ১১ জুন নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে মিয়ানমারের অংশ থেকে সেন্ট মার্টিনগামী নৌযানে গুলি করা হয়। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের সঙ্গে টেকনাফ ও কক্সবাজারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে বুধবার দুপুরে নাফ নদীতে দেখা মিলে মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর জাহাজ। এরপর রাত থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপসহ আশপাশের সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের ওপার হতে থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসতে শুরু করে। ফলে দ্বীপে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দেয়। পরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এক জরুরি সভায় বৃহস্পতিবার থেকে বিকল্প পথে যাত্রী এবং পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। শুক্রবার খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী নিয়ে জাহাজ পাঠানো হয়েছে সেন্ট মার্টিনে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ