জুন ২৭, ২০২৪ ১৬:২৫ Asia/Dhaka
  • বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
    বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাস করে স্থগিতের বিষয়টিকে 'সরকারের চালাকি' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, 'এই স্থগিতের মানে খালেদা জিয়ার সাজা কমছে না। ভবিষ্যতে যখন তাদের (সরকার) প্রয়োজন হবে, সাজা আবার যুক্ত হবে। এটা আরেকটা খেলা।'

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "খালেদা জিয়া প্রায় দুই বছরের বেশি জীর্ণ-পরিত্যক্ত কারাগারে ছিলেন। তারপরে নিয়ে আসা হয়েছে পিজি হাসপাতালে, সেখানে তিনি কোনো চিকিৎসা পাননি। শেষে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে সাজা স্থগিত করে। এখানে আরেকটা চালাকি আছে-চালাকিটা কী? যেমন আমি বলি না, ছয় মাস ছয় মাস করে সাজা স্থগিত করছে, তার মানে সাজা কিন্তু কমছে না। সেই সাজা আবার গুণতে হবে ভবিষ্যতে যখন তাদের প্রয়োজন হবে। এটা হচ্ছে আরেকটা চালাকি। অর্থাৎ আরও বেশি দীর্ঘায়িত করা হবে।"

খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন সামগ্রিক আন্দোলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, "গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে আলাদা করা যাবে না। খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র সমার্থক ও এক। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারলে গণতন্ত্রকে মুক্ত করা হবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে পারলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।"

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। যেসব চুক্তি করা হচ্ছে, তার কোনোটাই বাংলাদেশের পক্ষে নয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের সবক দেন, চুক্তি ও সমঝোতার পার্থক্য নাকি বুঝি না। শুধু একটা কথা বলব, দেশের সঙ্গে বেইমানি করবেন না। এমন চুক্তি ও সমঝোতায় স্বাক্ষর করবেন না, যেটা জনগণের স্বার্থবিরোধী।’

এবার ভারত সফর থেকে সরকার কী এনেছে—জানতে চেয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা নিয়ে কোনো কথা নেই। ভারত নাকি আমাদের কাছের বন্ধু। এত কাছের বন্ধু কিন্তু সীমান্তে গুলি করে নাগরিক হত্যা করে। এমন নজির বিশ্বে কোথাও নেই। সরকার আত্মরক্ষার্থে যেসব কথা বলছে, তাতে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। যারা আসবে, তাদের বরণ করে নেব। কিন্তু নিজেরা ক্ষমতায় থাকতে পুরো নির্বাচনব্যবস্থাকে দখল করে নেবেন, সেটা হতে দেব না। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিএনপির এজিএমে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, “আদালতের রায়ের পরে কোথায় থাকব জানি না। আপনারা গণতন্ত্রের আন্দোলনে কখনো পিছপা হবেন না।”’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম, মোস্তাফিজুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মীর সরাফত আলী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্যসচিব নিপুণ রায় চৌধুরী।

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৭

ট্যাগ