৯৯৮ ভারতীয় শিক্ষার্থী দেশে ফিরে গেছেন
(last modified Sat, 20 Jul 2024 10:58:55 GMT )
জুলাই ২০, ২০২৪ ১৬:৫৮ Asia/Dhaka
  • ৯৯৮ ভারতীয় শিক্ষার্থী দেশে ফিরে গেছেন

বাংলাদেশে থাকা সকল ভারতীয় নাগরিক নিরাপদ ও সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ১৫ হাজারের বেশি ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন। তাদের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৫০০।

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিয়ে অশান্ত পরিস্থিতিতে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন,‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা আটকে পড়েছেন, তারা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। তাদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রণধীর জয়সওয়াল আরো বলেন, আটকে পড়া  ভারতীয়রা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আমরাও তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। কোনওরকম সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমরা প্রস্তুত রয়েছি এবং গোটা বিষয়ের ওপর  নিজে নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভারতীয় শিক্ষার্থীসহ অন্যদের ফিরিযে আনার জন্য পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের চার রাজ্য-অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজরামের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে। পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল, চ্যারাবান্ধা, ত্রিপুরার আখাউড়া এবং মেঘালয়ের ডাউকির সীমান্তে অভিবাসন কেন্দ্র (ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট) দিয়েও শিক্ষার্থীদের ফেরানো হবে।

৯৯৮ ভারতীয় শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে

৪০৫ ভারতীয় শিক্ষার্থী  দেশে ফিরে গেছেন

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনের উত্তপ্ত পরিস্থিতরি কারণে  এ পর্যন্ত মোট ৯৯৮ জন শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা আজ( শনিবার) জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে এরইমধ্যে তার রাজ্যে স্থল সীমান্ত পথে ৪০৫ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী এসেছেন। বাকিদের বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে, সাধারণ ভারতীয় ও শিক্ষার্থীদের জন্য দেশটির দূতাবাসের পক্ষ থেকে পরামর্শ বার্তা জারি করা হয়েছে। গণপরিবহণ এড়িয়ে চলতে ও বাইরে যতটা সম্ভব কম বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জরুরি নম্বর চালু করা হয়েছে ভারতীয়দের জন্য। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহি, খুলনা জেলার জন্য আলাদা আলাদা ফোন নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে। তবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি রণধীর জয়সওয়াল। বিষয়টিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মৈত্রী এক্সপ্রেস বাতিল

এদিকে, বাংলাদেশের উত্তপ্ত অবস্থার জেরে বাতিল করা হয়েছে মৈত্রী এক্সপ্রেস। জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ঢাকায় কোনও ট্রেন প্রবেশ করবে না। ঢাকা থেকে কোনও ট্রেন কোথাও যাবেও না।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২০

ট্যাগ