ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিবস্ত্র করার ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘন: সারজিস
(last modified Fri, 16 Aug 2024 11:58:35 GMT )
আগস্ট ১৬, ২০২৪ ১৭:৫৮ Asia/Dhaka
  • ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিবস্ত্র করার ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘন: সারজিস

বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন,  ১৫ আগস্টে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে বিবস্ত্র করা থেকে গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনাগুলো যারা ঘটিয়েছে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

সারজিস বলেছেন, ‘ধানমন্ডি ৩২–সহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এমন অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, যেগুলো আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না। এগুলো কোনোভাবেই আইনসংগত নয়।’

আজ (শুক্রবার) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সারজিস আলম। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো কর্তৃপক্ষ নয়; বরং একটি প্রেশার গ্রুপ।’

সারজিস আলম আরও বলেন, ‘ভাইরাল ভিডিওতে দেখেছি যে আমার বাবার বয়সী একজনকে কান ধরে ওঠবস করানো হচ্ছে, আমার বাবার বয়সী একজনকে বিবস্ত্র করা হয়েছে ও লোকজন যাচ্ছেতাই বলেছে, আমার মায়ের বয়সী একজনের গায়ে হাত তোলা হয়েছে এবং সাংবাদিক ভাইবোনদের ওপর হামলার বিভিন্ন ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এমন অসংখ্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। গত ১৬ বছরের নির্যাতন-নিপীড়ন, কথা বলার অধিকার হরণ, দুর্নীতি-নিপীড়ন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে—এগুলোর বিরুদ্ধেই ছিল আমাদের অভ্যুত্থান। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চেয়েছি, যেখানে সবাই সবার কথা বলতে পারবে, মতপ্রকাশ করতে পারবে—এই স্বাধীনতাগুলো থাকবে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের সবাই একসঙ্গে বসে আলোচনা করেছেন উল্লেখ করে সারজিস বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট বলছি, আমরা খুঁজছি যে এসব ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সমন্বয়ক বা সহসমন্বয়ক যুক্ত আছেন কি না। আমাদের প্রথম সিদ্ধান্ত, তথ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে পুরো বাংলাদেশে এসব ঘটনার সঙ্গে একজন সমন্বয়ক বা সহসমন্বয়কের যুক্ততা পাওয়া গেলে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের টিম থেকে বহিষ্কার করব। মানুষকে বিবস্ত্র করা থেকে গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনাগুলো যারা ঘটিয়েছে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এগুলো কোনোভাবেই আইনসংগত নয়।

আমাদের দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে যা করা প্রয়োজন, একটি প্রেশার গ্রুপ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সেই কাজটি করবে। আমাদের যে দুজন ছাত্র-প্রতিনিধি অন্তর্বর্তী সরকারে আছেন, তাঁদের মাধ্যমে যেভাবে বিচার নিশ্চিত করা যায়, আমরা সেই কাজটি করব।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আমরা সব জায়গায় বলেছি, যেটি ন্যায্য ও ন্যায়সংগত, সেটিই যেন বাস্তবায়ন হয়।’

বিশাল একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ভুয়া সমন্বয়ক-সহসমন্বয়ক বা ভুয়া আন্দোলনকারী হয়ে উঠেছে মন্তব্য করে সারজিস আরও বলেন, তাঁরা তাঁদের জায়গা থেকে বিভিন্ন কমিটি তৈরি করছেন। আমরা আমাদের জায়গা থেকে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক কমিটি দিয়েছিলাম। ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য এবং কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য এই মানুষগুলো এমন কিছু কাজ করছে, যা অপ্রত্যাশিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আসার পর আমরা এই প্ল্যাটফর্মটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’#

পার্সটুডে/জিএআর/জিএআর/ ১৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন

ট্যাগ