ত্রিপুরায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৪ দিনে নিহত ২২
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় গত চার দিনে ২২ জন নিহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৪শ’ জন মানুষকে ৪৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকারের ত্রাণ, পুনর্গঠন ও দুর্যোগ ব্যবস্থপনা অধিদফতরের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত চার দিন ধরে ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত ত্রিপুরার বন্যা পরিস্থিতি আজও (শুক্রবার) ভয়াবহ অবস্থায় ছিল। গতকাল দক্ষিণ ত্রিপুরায় কাদার স্রোতে চাপা পড়ে নারী ও শিশুসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ ত্রিপুরার আটটি জেলার জন্যই ‘রেড অ্যালার্ট’ বজায় রেখেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় সাহায্য ও সহায়তা আরও বাড়াতে বিমান বাহিনী কাজ করছে। এছাড়া ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) আরও দল সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর দুটি সি-১৩০ এবং একটি এএন-৩২ বিমান ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য কাজ করেছে। এছাড়া হেলিকপ্টারগুলোও দুর্গত এলাকায় পৌঁছাতে এবং আরও ত্রাণ তৎপরতা চালাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ত্রিপুরা রাজ্যের নদীগুলোর পানির স্তর এখনও উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি রয়ে গেছে। গোমতি, দক্ষিণ ত্রিপুরা, উনাকোটি এবং পশ্চিম ত্রিপুরার মতো জেলাগুলো বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে ধলাই, খোয়াই, দক্ষিণ ত্রিপুরা, পশ্চিম ত্রিপুরা, উত্তর ত্রিপুরা এবং উনাকোটি - ছয়টি জেলায় নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আট জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বন্যার কারণে রাজ্যে ট্রেন পরিষেবা আপাতত বন্ধ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত স্কুল, কলেজ। একাধিক জেলায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আশার কথা শোনাতে পারছে না আবহাওয়া ভবন। শুক্রবারও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে একাধিক জেলায়।#
পার্সটুডে/এমএআর/২৩