হামাস নেতা ইজ্জাদ্দিন আর-রিশকের মন্তব্য
যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার পথে নিজেকেই প্রধান বাধা বলে স্বীকার করলেন নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, গাজা-মিশর সীমান্তবর্তী ফিলাডেলফিয়া করিডোরের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়া সম্ভব নয় বলে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে মন্তব্য করেছেন তার মাধ্যমে তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন।
হামাসের পলিটব্যুরো সদস্য ইজ্জাত আর-রিশক আরো বলেছেন, নেতানিয়াহুর বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ১১ মাস ধরে গণহত্যা চালানোর পরও বিজয় অর্জন করতে না পেরে এখন তার দর্শকদের সামনে একটি কাল্পনিক বিজয় তুলে ধরতে চান।
রিশক আরো বলেন, গাজা উপত্যকায় নির্মম ও নির্বিচার গণহত্যা চালানো ছাড়া নেতানিয়াহু ও তার মন্ত্রিসভা অন্য কোনো কিছু অর্জন করতে পারেনি। হামাস নেতা বলেন, নেতানিয়াহু হচ্ছেন এমন একজন যুদ্ধাপরাধী যিনি তার দর্শক ও মার্কিন প্রশাসনের কাছে একাধারে মিথ্যাচার করে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বাঁচিয়ে রেখেছেন।
হামাসের এই পলিটব্যুরো সদস্য আরো বলেন, নেতানিয়াহু সর্বশেষ যে বক্তব্য দিয়েছেন তার পুরোটাই ডাহা মিথ্যা এবং একথা কেউ বিশ্বাস করবে না। তিনি নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনিই পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার চুক্তির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি গাজা উপত্যকার একটি টানেল থেকে ছয় ইসরাইলি পণবন্দির লাশ উদ্ধার করে ইহুদিবাদী বাহিনী। তারা দাবি করে, মাত্র একদিন আগে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে ইসরাইল জুড়ে লাখ লাখ ইহুদিবাদী তাদের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রচণ্ড বিক্ষোভ দেখায়। তারা অভিযোগ করে, নেতানিয়াহু বহু আগে যুদ্ধবিরতি মেনে নিলে এসব পণবন্দিকে প্রাণ দিতে হতো না।
ওই বিক্ষোভের পর নেতানিয়াহু এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, গাজার সঙ্গে মিশরের সীমান্তবর্তী ফিলাডেলফিয়া করিডোরের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়ার যে দাবি হামাস জানাচ্ছে তা মেনে নেয়া সম্ভব নয়। কারণ, ওই করিডোর দিয়ে অস্ত্র চোরাচালান করে হামাস বেঁচে আছে। নেতানিয়াহুর এই দাবিকে ‘রাজনৈতিক ভাওতাবাজি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল সরকারের বিরোধীদলগুলো।#
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।