অবশেষে হাথুরুসিংহে বরখাস্ত, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ সিমন্স
আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় ক্রিকেট প্রধান কোচের পদ থেকে চান্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার অনুপস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ক্যারিবীয় ফিল সিমন্সকে।
আজ (মঙ্গলবার) বিকেশে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের কোচকে (হাথুরুসিংহে) শোকজ নোটিশ দিয়েছি এবং সাময়িক বরখাস্ত করেছি। (তার কর্মকাণ্ডে) এমন কিছু সমস্যা ছিল যা আমি একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় হিসেবে সহ্য করতে পারি না। হাথুরুসিংহেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তার কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে এবং তার বরখাস্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। এর পরে তার চুক্তি স্থগিত করা হবে।”
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন হাথুরু। কিন্তু তার প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেটের যতটুকু উন্নতি দেখা গেছে, দ্বিতীয় মেয়াদে সেটা দেখা যায়নি। এমনকি এই সময়ে বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে বিভেদ তৈরি, বিসিবির বিধি ভঙ্গ ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে অশোভন আচরণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে।
দেশের ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর চাকরি ঝুলে গিয়েছিল টাইগার হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। বিসিবি সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসান পাপনের স্থলাভিষিক্ত হওয়া ফারুক আহমেদ নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই জানিয়েছিলেন হাথুরুর বিকল্প কোচ খোঁজার কথা। যদিও পাকিস্তান সিরিজে অবিশ্বাস্য ফল এবং পরপরই ভারতের মাটিতে সিরিজ। সব মিলিয়ে হাথুরু অধ্যায় অনেকটা চাপা পড়ে গিয়েছিল।
তবে ভারতের বিপক্ষে দুই ফরম্যাটের সিরিজেই ভরাডুবির পর আবারও নড়েচড়ে বসে বিসিবি। আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের আগেই বরখাস্ত হলেন হাথুরুসিংহে।
হাথুরু দুই মেয়াদে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম মেয়াদে ২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরপর নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন হাথুরু।
হাথুরুর সঙ্গে চুক্তি ছিল ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। কিন্তু আগেভাগেই লঙ্কান এই কোচকে বিদায় করে দিল বিসিবি।#