পাশ্চাত্যের বিপথগামিতা আসল কারণ
নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাবেন না: জি৭’কে ইরান
শিল্পোন্নত সাত জাতিগোষ্ঠী- জি-সেভেন গ্রুপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ইরানবিরোধী অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তেহরান বলেছে, যেসব বিষয়ে ইরানের ওপর দোষ চাপানো হয়েছে সেগুলো আসলে পাশ্চাত্যেরই বিপথগামী নীতির অবধারিত ফসল।
রোমে মঙ্গলবার জি-সেভেন গ্রুপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে ইরানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয় গতকাল (বুধবার) তার জবাব দিতে গিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি এ মন্তব্য করেন।
জি-সেভের বিবৃতিতে অক্টোবর মাসে ইরানের ইসরাইলবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা জানানো হয়; যে হামলাটি ইসরাইলেরই ভয়াবহ আগ্রাসী তৎপরতার প্রতিশোধ নিতে চালানো হয়েছিল। বিবৃতিতে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইরানকে দায়ী করে দাবি করা হয়, এ অঞ্চলে যাতে সংঘাতের আর বিস্তার না ঘটে সে লক্ষ্যে কাজ করবে জি-সেভেন।
এসব অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় বাকায়ি বলেন, অভিযোগগুলি জি-সেভেন সদস্য দেশগুলির অবৈধ, অন্যায়, একতরফা, বৈষম্যমূলক ও জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপেরই ফসল যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার অপূরণীয় ক্ষতি করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, এই দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপের একটি সুস্পষ্ট উদাহরণ হল গাজা ও লেবাননে ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণহত্যা ও ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞের প্রতি জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোর অটল সমর্থন।
তিনি বলেন, জি-সেভেনের প্রভাবশালী সদস্য দেশগুলো বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যুতে দ্বৈত নীতি এবং মারাত্মক পক্ষপাতসুলভ আচরণে মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে আইনের শাসনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ইসমাইল বাকায়ি বলেন, জি-সেভেন কোনো অবস্থায় আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না বা বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে অধিকৃত ফিলিস্তিন ও লেবাননে মানবাধিকার ও মানবিক আইনের চরম লঙ্ঘনের বিষয়ে ভন্ডামীমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে এসব বিষয়ে কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার রাখে না।#
পার্সটুডে/এমএমআই/২৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।