ওবায়দুল কাদেরের দেশ ছাড়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইল ট্রাইব্যুনাল
ওবায়দুল কাদেরের দেশে থাকার কথা সরকার জানতো না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
-
লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেশে থাকার কথা সরকার জানতো না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ (মঙ্গলবার) ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানতে চেয়েছেন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরে ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের কোথায় কীভাবে ছিলেন এবং কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের দেশে থাকার বিষয়টি সরকার জানত না। জানলে তাকে গ্রেফতার করা হতো।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছেড়ে গেলেন তা জানতে চেয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) ১৫ দিনের মধ্যে এ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে “গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ” সংঘটনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে গত তিন মাস ছিলেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর বাংলাদেশের কোথায় তিনি কীভাবে ছিলেন এবং কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি বা তিনি কীভাবে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করেছেন, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যাখ্যা যেন দেওয়া হয়, সেটি জানানোর জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।”
চিফ প্রসিকিউটর আর বলেন, “যদি কেউ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।”
এর আগে দৈনিক ট্যাবলয়েড মানবজমিন “তিন মাস দেশেই ছিলেন ওবায়দুল কাদের” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। এরপর বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে ওবায়দুল কাদেরের দেশ ছাড়ার বিষয়ে ব্যাখা চাইলেন ট্রাইব্যুনাল।
মানবজমিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিন মাস দেশেই ছিলেন ওবায়াদুল কাদের। গত ৮ নভেম্বর ওবায়দুল কাদের শিলং হয়ে ভারতের কলকাতায় পৌঁছান বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।#
পার্সটুডে/এমএআর/১৭