সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অন্তর্বর্তী সরকার
(last modified Sat, 11 Jan 2025 13:25:08 GMT )
জানুয়ারি ১১, ২০২৫ ১৯:২৫ Asia/Dhaka
  • সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অন্তর্বর্তী সরকার

বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জিরো টলারেন্স নীতির পুনরাবৃত্তি করে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে।

আজ (শনিবার) একটি পুলিশ প্রতিবেদন তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধর্ম-বর্ণ, জাতি-নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

সাম্প্রদায়িক হিংসার অভিযোগ পেতে পুলিশ একটি হোয়াটসঅ্যাপ খুলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। জাতীয় জরুরি পরিষেবা যখনই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিষয়ে ৯৯৯ হেল্পলাইন নম্বরে জানানো হয়, ঠিক তখনি একটি কাছাকাছি বাহিনীকে সংযুক্ত করে পুলিশ সদর দপ্তর।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ সব ধরেনের অভিযোগের সমাধানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দাবি করেছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ১ হাজার ৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট থেকে সাম্প্রদায়িক হামলা ও দাবির বিষয়ে পুলিশের প্রতিবেদন অনুসারে, ১ হাজার ৭৬৯টি অভিযোগের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬২টি মামলা করেছে পুলিশ। তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে অন্তত ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব হামলা সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না, বরং তা ছিল রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার।

পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, ১ হাজার ২৩৪টি ঘটনা রাজনৈতিক কারণে হয়েছে এবং ২০টি ঘটনা সাম্প্রদায়িক। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত ১৬১টি দাবি মিথ্যা বা অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।

পার্সটুডে/জিএআর/১১