বিশ্বের ১১০টি দেশে হালাল খাবার রপ্তানি করছে ইরান
পার্স টুডে - ইরানের মান নিয়ন্ত্রণ ও বিপনণ গবেষণা বিভাগের পরিচালক বলেছেন, "হালাল খাদ্যপণ্য ইরানের একটি বড় রপ্তানিপণ্য। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, উপসাগরীয় দেশসমূহ এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে এসব পণ্যের চাহিদা ব্যাপক।"
তেহরানে ইরানি সিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ নিউজ এজেন্সি (আইএমএনএ)-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে 'কিওমারস ইয়াগময়ী' ইরানের অর্থনীতিতে খাদ্যপণ্যের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, "ইরাক, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আফগানিস্তান, রাশিয়া এবং কিছু ইউরোপীয় দেশে রপ্তানি এই অঞ্চলের বাজারে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করেছে। যদিও অতীতে খাদ্যপণ্য পাচার অভ্যন্তরীণ বাজার বৃদ্ধি ও রপ্তানি বিকাশে বাধা সৃষ্টি করেছিল, তবে তদারকি বৃদ্ধি এবং স্থানীয় উৎপাদন শক্তিশালীকরণের ফলে ইরানি ব্র্যান্ডগুলোর চাহিদা বেড়েছে।"
'কিওমারস ইয়াগময়ী' উল্লেখ করেন, নতুন বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে এখনও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন ব্যাপক বাজার গবেষণার অভাব, খাদ্য মানের ক্ষেত্রে ভিন্ন মানদণ্ড, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর সাথে তীব্র প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। তিনি বলেন, "সাফল্য অর্জনের জন্য ইরানি কোম্পানিগুলোকে টার্গেটকৃত দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে গভীর গবেষণা করতে হবে এবং কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।"
ইরানের মান নিয়ন্ত্রণ ও বিপণন গবেষণা বিভাগের এই পরিচালক আরও বলেন, "সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা, ইউরেশীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিক্স-এর মতো সংস্থাগুলোতে ইরানের সদস্যপদ খাদ্য শিল্পের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ তৈরি করেছে। এই সংস্থাগুলোর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক বাধা কমলে ইরানি ব্র্যান্ডগুলোর জন্য আঞ্চলিক ও মধ্য এশিয়ার বাজারে ব্যাপক প্রবেশের পথ সুগম হবে।"
'কিওমারস ইয়াগময়ী' জোর দিয়ে বলেন, "উৎপাদনের মান উন্নয়ন, বিদেশি ভোক্তাদের চাহিদা বুঝতে পারা এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলার মাধ্যমে ইরানের খাদ্য শিল্প প্রতিবেশী বাজারে একটি শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। তবে দ্রুত প্রবৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক সুযোগগুলোর সদ্ব্যবহার করা এখনও অপরিহার্য।"
পার্স টুডে-এর প্রতিবেদন বলা হয়েছে, গতকাল থেকে তেহরানে ১১০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে 'ইরান এক্সপো ২০২৫' শুরু হয়েছে।#
পার্সটুডে/এমএআর/২৯