আনসারুল্লাহর পক্ষ থেকে ‘প্রকৃত হুমকি’ রয়েছে
ইয়েমেনি হামলার আশঙ্কায় উচ্চ মাত্রার সতর্ক অবস্থায় ইসরাইল
-
একজন ইয়েমেনি বিক্ষোভকারী একটি দৃষ্টিনন্দন রকেটের মডেল বহন করছেন
ইয়েমেনের জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন ইসরাইলে নতুন করে হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় ইহুদিবাদী ইসরাইল সরকার উচ্চমাত্রার সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইয়েমেনে ইঙ্গো-মার্কিন-ইসরাইলি যৌথ বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতে হুথিরা এ হামলা চালাবে বলে জানতে পেরেছে ইসরাইলি নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।
ইসরাইলের ১২ নম্বর টিভি চ্যানেল শনিবার এক রিপোর্টে বলেছে, “আনসারুল্লাহর প্রতিশোধমূলক হামলা ঠেকাতে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।” এতে বলা হয়, এর একদিন আগে মার্কিন, ব্রিটিশ ও ইসরাইলি সেনারা যৌথভাবে ইয়েমেনের বিভিন্ন অবস্থানে ব্যাপকভাবে বোমাবর্ষণ করার পর তেল আবিব এ আশঙ্কা প্রকাশ করল।
রিপোর্টে বলা হয়, আনসারুল্লাহ আন্দোলন অচিরেই প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে বলে ‘প্রকৃত হুমকি’ রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার ইয়েমেনের আল-মাসিরা টেলিভিশন জানিয়েছিল, ইসরাইলি-মার্কিন-ব্রিটিশ যুদ্ধবিমানগুলো রাজধানী সানার উত্তরে অবস্থিত আমরান প্রদেশে ব্যাপকভাবে বোমাবর্ষণ করেছে। এছাড়া, হুদায়দা ও রাস ঈসা বন্দরেও হামলা চালিয়েছে যৌথ আগ্রাসী বাহিনী।
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী লোহিত সাগরে মোতায়েন মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি জে ট্রুম্যানের ওপর হামলা করার পর ইঙ্গো-মার্কিন-ইসরাইলি যৌথ বাহিনী ইয়েমেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করার পর ইয়েমেন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে গাজাবাসীর পক্ষ অবলম্বন করে। ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর সমুদ্র অভিযানের ফলে লোহিত সাগর দিয়ে ইসরাইলে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় এইলাত সমুদ্র বন্দর বর্তমানে কার্যত অচল হয়ে রয়েছে। ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী বলেছে, গাজায় দখলদার ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/১২