কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনায় জনস্বার্থের মামলা গ্রহণ করেনি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট!
(last modified Mon, 03 Feb 2025 10:54:33 GMT )
ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৫ ১৬:৫৪ Asia/Dhaka
  • প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না
    প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না

ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক এবং উদ্বেগের বলে মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ।  

আজ (সোমবার) প্রধান বিচারপতি বলেন, ”অত‍্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, কিন্তু এই মামলায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই। আপনারা এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হোন।”

গত ২৯ জানুয়ারি কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে কুম্ভমেলায় যাওয়া পুণ্যার্থীদের জন্য সুরক্ষাবিধি এবং নির্দেশিকা বেঁধে দেওয়ার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি।

জনস্বার্থ মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, সরকারি গাফিলতির কারণেই মঙ্গলবার গভীর রাতে ত্রিবেণী সঙ্গমে ৩০ জনের মৃত্যু এবং অন্তত ৬০ জনের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানান তিনি। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ারও আর্জি জানান মামলাকারী।

আজ (সোমবার) মামলাটি প্রধান বিচারপতি খন্না এবং বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে মামলাটি উঠলে বিচারকরা সেটি গ্রহণ করেনি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মুকুল রোহাতগি। তিনি জানান, 'পদপিষ্টের ঘটনার তদন্তে ইতোমধ্যে একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন হয়েছে।' সে কথা শুনে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মামলাকারীকে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেয়।

এদিকে, কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট অনেক বেশি মানুষ মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীদলগুলো। আজ (সোমবার) লোকসভা শুরু হওয়ার পরই বিরোধী সংসদ সদস্যরা, বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ওয়েলে নেমে বলতে থাকেন, সরকারকে কুম্ভমেলা নিয়ে জবাব দিতে হবে।  

এসময় সংসদীয়মন্ত্রী কিরণ রিজিজু এবং স্পিকার ওম বিড়লা বারবার সংসদ সদস্যদের নিজেদের জায়গায় গিয়ে বসতে বলেন এবং শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান।#  

পার্সটুডে/এমএআর/৩