হামাসকে অন্যায় দাবি মেনে নিতে বাধ্য করার অপকৌশল
গাজা উপত্যকায় নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল: ৪ জন নিহত
গাজা যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার পর এই উপত্যকার অসহায় মানুষের উপর আবার বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। হামলায় অন্তত চার ফিলিস্তিনি শাহাদাতবরণ করেছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার দিনব্যাপী থেমে থেমে গাজার বিভিন্ন এলাকায় ‘বেশ কয়েক দফা’ বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। এতে চারজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অপর ছয়জন আহত হয়েছেন।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী অবশ্য দাবি করেছে, তারা উত্তর গাজায় একদল মানুষের ওপর একটি বিমান হামলা চালিয়েছে যারা ইসরাইলি সেনাদের কাছাকাছি ‘বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখার’ চেষ্টা করছিল। ইহুদিবাদী বাহিনী হুমকি দিয়ে বলেছে, ইসরাইলি নাগরিক বা সেনার জীবন হুমকির মধ্যে ঠেলে দেয়ার যেকোনো চেষ্টাকে হামলা চালিয়ে নস্যাত করে দেয়া হবে।
এর আগে রোববার দিনের বেলায় খবর আসে, উত্তর গাজার বেইত হানুন শহরে এক ড্রোন হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন।
গত ১৯ জানুয়ারি গাজা যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইল ব্যাপকভাবে এই উপত্যকার ওপর বিমান হামলা বন্ধ রেখেছিল। ওই যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ছয় সপ্তাহে গাজা থেকে কয়েক ডজন ইসরাইলি পণবন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়। এর বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
ওই যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট পণবন্দিদের একাংশের মুক্তি বিনিময়ে গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তেল আবিব এখন দাবি করছে, যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ না করেই অবশিষ্ট সকল পণবন্দিকে একসঙ্গে মুক্তি দিতে হবে। কিন্তু হামাস কঠোর ভাষায় তেল আবিবের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাসের এ প্রতিক্রিয়ার পর রোববার গাজায় সব ধরনের ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল সরকার।
গাজা উপত্যকায় এখনও ৬০ ইসরাইলি পণবন্দি রয়েছে বলে মনে করা হয় যাদের মধ্যে অন্তত ২৪ জন জীবিত রয়েছে। #
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/৩