গাজার ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষ; ইহুদিবাদী কমান্ডারদের একমাত্র কৌশল
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i151766-গাজার_ভবনগুলোর_ধ্বংসাবশেষ_ইহুদিবাদী_কমান্ডারদের_একমাত্র_কৌশল
পার্সটুডে-একজন ইসরাইলি বিশ্লেষক গুরুত্বের সঙ্গে বলেছেন: গাজা যুদ্ধ অনেক আগেই তার লক্ষ্য হারিয়ে ফেলেছে এবং গাজা শহর দখল করলে কেবল কিছুই যে অর্জন হবে না, তাই নয় বরং হামাসের চেয়ে ইসরাইলের ক্ষতিই বেশি হবে।
(last modified 2025-09-08T11:35:24+00:00 )
সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫ ১৬:০৮ Asia/Dhaka
  • গাজার ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষ; ইহুদিবাদী কমান্ডারদের একমাত্র কৌশল
    গাজার ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষ; ইহুদিবাদী কমান্ডারদের একমাত্র কৌশল

পার্সটুডে-একজন ইসরাইলি বিশ্লেষক গুরুত্বের সঙ্গে বলেছেন: গাজা যুদ্ধ অনেক আগেই তার লক্ষ্য হারিয়ে ফেলেছে এবং গাজা শহর দখল করলে কেবল কিছুই যে অর্জন হবে না, তাই নয় বরং হামাসের চেয়ে ইসরাইলের ক্ষতিই বেশি হবে।

প্যালেস্টাইন ইনফরমেশন সেন্টারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে, ইসরাইলি সাংবাদিক ও বিশ্লেষক বেন ক্যাসপিট গাজায় ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযানের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন। পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, বেন ক্যাসপিট বলেছেন, সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ বৈঠকে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে গাজা দখল অভিযানের ফলে ইসরাইলি বন্দী এবং সেনাদের জীবন বিপন্ন না হয়। কোনো কোনো কমান্ডার এই অভিযানের কোনও নির্দিষ্ট কৌশলও দেখতে পান না এবং এটি কেবল অবশিষ্ট ভবন ধ্বংস করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছেন।

তিনি আরও বলেন: সেনাবাহিনী এবং শবাকের প্রতিবেদন অনুসারে, গাজায় হামাসের ভূগর্ভস্থ টানেলগুলোর দৈর্ঘ প্রায় ৭০০ কিলোমিটার, যার মধ্যে মাত্র ২০০ কিলোমিটার এখনও ধ্বংস করা হয়েছে। এর অর্থ হল হামাসের বেশিরভাগ টানেলের অবকাঠামো এখনও সক্রিয়, যে কারণে দলটি লুকিয়ে থাকার কৌশলে এখনও যুদ্ধ পরিচালনা করতে পারছে।

ইসরাইলি সাংবাদিক আরও বলেন: গাজা দখল অভিযানে প্রচুর হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে, যার মধ্যে আনুমানিক ১০০ জন ইসরাইলি সৈন্য নিহত হতে পারে। দুই বছরের তীব্র লড়াই এবং সরঞ্জাম শেষ হয়ে আসার পাশাপাশি, ব্যাপক সংখ্যক হতাহতের ঘটনা এবং বিশাল অঙ্কের আহত হওয়ার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সামরিক শক্তি হ্রাস পেয়েছে। কাজেই হামাস বাহিনীর মোকাবেলা করা ইসরাইলি সেনাদের জন্য খুবই কঠিন হবে।”

বেন-ক্যাসপিট বলেন: হামাস সামরিকভাবে অজেয়, এই বাস্তবতা ৭ অক্টোবরের হামলার পর সবচেয়ে খারাপ মুহূর্তগুলোতেও অনড় সত্যই রিয়ে গেছে। তবে, আদর্শিক, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক এবং ঐতিহাসিক স্তরে, হামাস সম্ভবত ইসরাইলকে পরাজিত করতে সফল হয়েছে।

বেন-ক্যাসপিট আরও বলেন: হামাস নেতাদের নির্মূল করার পর, লক্ষ্য হল গাজাকে রাফায় পরিণত করা এবং এটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা। প্রশ্ন হলো কীভাবে তা বাস্তবায়ন করা হবে এবং সেইসাথে এলাকার জনগণের ভবিষ্যত সম্পর্কেও অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গাজা কি বিমান দিয়ে, বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে নাকি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হবে? এর পরে কী হবে? এই প্রশ্নগুলো এখনও উত্তরহীন রয়ে গেছে।#

পার্সটুডে/এনএম/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।