'বাংলাদেশ ও ভারতের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সামরিক সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী'
https://parstoday.ir/bn/news/event-i147856-'বাংলাদেশ_ও_ভারতের_সামরিক_বাহিনীর_মধ্যে_সামরিক_সম্পর্ক_খুবই_শক্তিশালী'
ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, “বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের ফলে ভারতের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের পরিবর্তন আসতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারতের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সামরিক সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী এবং উভয় দেশের সামরিক বাহিনী নিয়মিতভাবে নোট বিনিময় করে থাকে।”
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মার্চ ০৯, ২০২৫ ১২:৫৯ Asia/Dhaka
  • উপেন্দ্র দ্বিবেদী
    উপেন্দ্র দ্বিবেদী

ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, “বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের ফলে ভারতের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের পরিবর্তন আসতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারতের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সামরিক সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী এবং উভয় দেশের সামরিক বাহিনী নিয়মিতভাবে নোট বিনিময় করে থাকে।”

গতকাল (শনিবার) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি। সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, শনিবার চীন ও পাকিস্তানের প্রতি পরোক্ষ ইঙ্গিত করে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, "উভয় দেশের মধ্যে উচ্চ মাত্রার যোগসাজশ রয়েছে এবং এটা আমাদের মেনে নিতে হবে।"

নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে এক ইন্টারেক্টিভ অধিবেশনে চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে নৈকট্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এর অর্থ কী, আমার মতে, দুটি ফ্রন্টের হুমকি এখন বাস্তবতা।”

অধিবেশন চলাকালে ভারতীয় এই সেনাপ্রধান ভবিষ্যতের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি, চলমান সংঘাত থেকে শিক্ষা, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা সম্পর্কে বিস্তৃত প্রশ্নের জবাব দেন।

উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, “এখন আপনি যে দ্বিতীয় জিনিসটি তুলে ধরেছেন তা হলো- সহযোগিতা বা আমাদের পশ্চিমা প্রতিবেশী এবং বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক।”

পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, “যেহেতু আমি বলেছি- সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল একটি নির্দিষ্ট দেশে, তাদের আবার আমার যেকোনো প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক রয়েছে, তাই আমার চিন্তিত হওয়া উচিত, কারণ যতদূর আমি জানি, সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি সেই দেশ থেকেও ব্যবহার করা যেতে পারে, যা আজ আমাদের প্রধান উদ্বেগ।”

জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “বাংলাদেশের ভূমিকা সম্পর্কে এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া 'অনেক তাড়াতাড়ি' হতে পারে। যেখানে সরকার পরিবর্তনের ফলে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের পরিবর্তন আসতে পারে। কারণ আমার মতে, আমি খুব স্পষ্ট করেই বলব, (বাংলাদেশ ও ভারতের) বর্তমান সামরিক-সামরিক সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী। এবং আমরা নিয়মিত ভাবে নোট বিনিময় করি, যাতে যেকোনো ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বা সন্দেহ এড়ানো যায়।”

ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান-চীন সমীকরণকে কীভাবে দেখে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমাদের যা বুঝতে হবে তা হলো... আমাদের খুব স্পষ্ট হতে হবে যে- এখানে উচ্চ মাত্রার যোগসাজশ রয়েছে, যা আমাদের মেনে নিতে হবে। ভার্চুয়াল জগতের ক্ষেত্রে এটি প্রায় ১০০ শতাংশ; আর ভৌত ক্ষেত্রে, আমি বলব যে বেশির ভাগ সরঞ্জাম চীনা উৎপত্তি। সুতরাং, আজকের পরিস্থিতিতে এই যোগসাজশ উদ্বেগের। এর অর্থ, আমার মতে- দুই-ফ্রন্টের হুমকি ... আমার কাছে (এখন একটি) বাস্তবতা।”

তবে ভারতীয় এই সেনাপ্রধান “সহাবস্থান, সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের” আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুদ্ধে জড়ানো (এই অঞ্চলের) দেশগুলোর জন্য ভালো নয়। আমরা যা দেখছি তা হলো- কীভাবে আমরা আজকের পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে পারি এবং কূটনৈতিক ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা না করা পর্যন্ত তা কীভাবে পরিচালনা করতে পারি।”

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।#    

পার্সটুডে/এমএআর/৯