আন্তর্জাতিক আলেমদের ফতোয়া: ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মুসলমানের জন্য ফরজ
দখলদার ও রক্তপিপাসু ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ফরজ বলে ঘোষণা করেছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলারস বা আইইউএমএস। অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দাদের ওপর ১৭ মাস ধরে চলা নৃশংস ও নির্বিচার ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় গতকাল এ ফতোয়া জারি করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলারদের সংগঠন আন্তর্জাতিক মুসলিম উলামা ইউনিয়নের ফতোয়ায় ইসরাইলি গণহত্যা এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে অবিলম্বে সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মার্কিন মদদে গাজায় ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়ে যাওয়া ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদ ফরজ হওয়ার ফতোয়া জারি করেছে আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলারদের সংগঠন আন্তর্জাতিক মুসলিম উলামা ইউনিয়ন।
আন্তর্জাতিক মুসলিম উলামা ইউনিয়নের ইজতিহাদ ও ফতোয়া কমিটি গাজায় চলমান আগ্রাসন ও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে ১৫ দফা–সংবলিত যে ফতোয়া জারি করা হয়েছে তার কয়েকটি হলো:
১. প্রত্যেক সক্ষম মুসলিমের উপর ফিলিস্তিনে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদ করা ফরজ।
২. আরব ও মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর জন্য অবিলম্বে সামরিক হস্তক্ষেপ করা ফরজ।
৩. দখলদার ইহুদি রাষ্ট্রকে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ করা ফরজ। সব ধরনের জলপথ, প্রণালী এবং আরব-মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর আকাশসীমাও এই হুকুমের অন্তর্ভুক্ত।
৪. জিহাদরত প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস সহ সকল স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র দল)-কে আর্থিক, সামরিক, রাজনৈতিক ও মানবিক সহ সর্বক্ষেত্রে সহায়তা করা ফরজ।
৫. উম্মাহর সুরক্ষা ও আক্রমণকারী শত্রুদের প্রতিহত করতে অবিলম্বে ইসলামি সামরিক জোট গঠন করা ওয়াজিব। এটি এমন ওয়াজিব যা অবিলম্বে পালনীয়।
৬. ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্থাপন (স্বীকৃতি ও সহযোগিতা) সম্পূর্ণরূপে হারাম।
৭. ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্রকে পেট্রোল ও গ্যাস সরবরাহ করাও সম্পূর্ণরূপে হারাম।
৮. ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্রের সাথে আরব দেশগুলোর করা শান্তি চুক্তি সমূহ পুনরায় পর্যালোচনা করা জরুরী।
৯. গাজায় আমাদের মুসলিম ভাইদের সহায়তায় আর্থিক জিহাদ করা এবং দ্রুত এর (গাজার) সীমান্ত খুলে দেওয়া ফরজ।
১০. আমেরিকার মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা যেনো ট্রাম্প ও তার সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে। যেনো তিনি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেন। আগ্রাসন বন্ধ করেন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন।
আন্তর্জাতিক মুসলিম উলামা ইউনিয়নের তথ্যমতে, ইউনিয়নের ইজতিহাদ ও ফতোয়া কমিটির ১৫ জন বিশেষজ্ঞ ফিলিস্তিন ও মুসলিম বিশ্বের বাস্তবতা এবং শরীয়াহর নিরিখে এই ফতোয়া জারি করেছেন।
এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী এবং আরো অনেক আলেম এ ধরণের বক্তব্য দিয়েছেন।#
পার্সটুডে/এসএ/৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।