কাশ্মীরে বিশ্বের উচ্চতম রেলসেতু উদ্বোধন, শ্রীনগর-কাটরা রেলপথও চালু
(last modified Fri, 06 Jun 2025 09:20:57 GMT )
জুন ০৬, ২০২৫ ১৫:২০ Asia/Dhaka
  • কাশ্মীরে বিশ্বের উচ্চতম রেলসেতু উদ্বোধন, শ্রীনগর-কাটরা রেলপথও চালু

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু কাশ্মিরের পহেলগাঁও হামলার দেড় মাসের মধ্যে সেখানকার উন্নয়নে বড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দেশেটির কেন্দ্রীয় সরকার।

আজ (শুক্রবার)  বেলা ১২টায় ‘বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু 'চেনাব ((অঞ্জী) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীও প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছিলেন। জাতীয় পতাকা হাতে সেতুর উপর দিয়ে হাঁটলেনও মোদী। একই সঙ্গে শ্রীনগর-কাটরা রেলপথও চালু হয়েছে। ওই লাইন দিয়ে ‘ভারতীয় প্রগতির প্রতীক’ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছুটে গেল।

রেলসেতু উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী-আইফেল টাওয়ারের সঙ্গে চেনাব সেতুর তুলনা করে বলেন, ‘'আইফেল টাওয়ার দেখতে মানুষ প্যারিস যায়। আর এই সেতু আইফেল টাওয়ারের থেকেও উঁচু। এ বার মানুষ চেনাব সেতুর জন্য কাশ্মীরে আসবে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটন তো বাড়বেই, এ ছাড়াও অর্থনীতি অন্যান্য সেক্টরও লাভবান হবে।’ এই রেলপ্রকল্প ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে বড় সুযোগ বলেও মনে করেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘কাশ্মীরি পণ্য এ বার থেকে আরও কম সময়ে এবং সহজে পৌঁছে যাবে দেশের অন্য প্রান্তে।’’

চেনাব সেতু উদ্বোধন করে মোদী বলেন, ‘যত ভাল কাজ রয়েছে, তা আমার জন্যই পড়েছিল। আমার সরকারের সৌভাগ্য যে এই প্রকল্প আামাদের সময়কালেই গতি পেয়েছে এবং আমরা এটা শেষ করে দেখিয়েছি।’

উল্লেখ্য, চেনাব রেল ব্রিজ। বিশ্বের উচ্চতম আর্চ রেলব্রিজ। জম্মু কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার চন্দ্রভাগা নদীর উপর তৈরি হয়েছে এই ব্রিজ। ব্রিজটি স্টিল ও কংক্রিট দিয়ে এমন ভাবে তৈরি যা রিখটার স্কেলের ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতির মুখে পড়বে না। বড়সড় বিস্ফোরণেও ক্ষতির সম্ভবনা কম। রেল কর্মকর্তারা বলেন, সন্ত্রাসবাদী হামলা ও ভূমিকম্পের জন‌্য ব্রিজে রয়েছে সুরক্ষা প্রণালী।

২০০৩ সালে বাজপেয়ী সরকার এটির অনুমোদন দেয়। ২০০৪ সালে কাজ শুরু হয়। ২০০৯ সালে হাওয়ার তীব্রতায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মোদি সরকার ফের ব্রিজটির কাজ শুরু করে। ২০১৭ সালে ব্রিজের আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ হয়। ২০২১ সালে আর্চের অংশের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের আগস্টে পুরো নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

গত এপ্রিলের ১৯ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) এই কর্মসূচি থাকলেও আবহাওয়ার প্রতিকূলতায় সেদিন তা স্থগিত হয়ে যায়। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁন্দুর অভিযান চালায় ভারত। কিন্তু সেই অভিযানের পরও কাশ্মীরে পর্যটকদের ফেরানো এবং কাশ্মীরবাসীর মধ্যে আস্থা ফেরানো, দুটোই চ্যালেঞ্জ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে। #

পার্সটুডে/জিএআর/৬