ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া সম্ভব, জাতির জন্য সেটাই সবচেয়ে উপযোগী: মির্জা ফখরুল
(last modified Sat, 07 Jun 2025 08:29:32 GMT )
জুন ০৭, ২০২৫ ১৪:২৯ Asia/Dhaka
  • ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া সম্ভব, জাতির জন্য সেটাই সবচেয়ে উপযোগী: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্য ‘এপ্রিল মাস কোনোভাবেই উপযোগী নয়’। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া সম্ভব এবং সেটাই জাতির জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে।

আজ (শনিবার) ঈদের দিন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করলেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি আজ বেলা সাড়ে ১১টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য দিতে যান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে সময় (এপ্রিল মাস) নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই সময় বাংলাদেশে নির্বাচনের জন্য সঠিক সময় নয়। এখানে (এপ্রিল মাস) প্রচণ্ড গরম, ঝড়বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে…ওই সময় রোজার পরপরই...পাবলিক পরীক্ষা আছে। সময়টা খুব চিন্তা করে দেওয়া হয়েছে বলে আমাদের কাছে মনে হয় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ছাড়া নির্বাচনি প্রচারণা করতে হবে রোজার মাসে, যেটা ডিফিকাল্ট হবে। আমাদের যে রিমার্কস, সেটা আমাদের স্ট্যাডিং কমিটি গতকাল রাতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে মতামত জানিয়েছে। আমরা মনে করি যে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া সম্ভব এবং সেটাই জাতির জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে।

২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সাপ্তাহের কোনো একটি দিন জাতীয় নির্বাচন হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যে ঘোষণা দিয়েছেন, সে সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা গতকালই আমাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। আমাদের বরাবরই দাবি ছিল যে আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছিলাম...জনগণের প্রত্যাশাও তা–ই ছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি। শুক্রবার রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে নির্বাচন নিয়ে দলীয় অবস্থানের কথা জনান।

জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি মহাসচিব দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সালাহ উদ্দিন আহমদ ও এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং পরে প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০০৮ সালে কারাগারে যাওয়ার আগে প্রতি ঈদে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতেন। চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে দলের মহাসচিব স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে থেকে আমি দেশবাসীকে ঈদ মোবারক জানাচ্ছি, শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই দিনে আমরা ত্যাগের মাধ্যমে সত্যকে অন্বেষণ করি এবং মহান আল্লাহ তাআলার কাছাকাছি পৌঁছাতে চাই। কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা “কোরবানী”র একটি লাইন আছে, “ওরে হত্যা নয় আজি, সত্য-গ্রহ, শক্তির উদ-বোধন’। এই দিন (ঈদুল আজহা) সত্যিকার অর্থেই আমাদের ত্যাগ করতে শেখায়, আমাদের মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়, আমাদের আরও মহৎ পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা দেয়।#’

পার্সটুডে/জিএআর/৭