লোকসভায় শাহের  বিল পেশ: অপরাধী হলে ক্ষমতা হারাবেন প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী
https://parstoday.ir/bn/news/event-i151310-লোকসভায়_শাহের_বিল_পেশ_অপরাধী_হলে_ক্ষমতা_হারাবেন_প্রধানমন্ত্রী_এবং_মুখ্যমন্ত্রী
বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদের মধ্যেই লোকসভায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
(last modified 2025-08-20T15:04:55+00:00 )
আগস্ট ২০, ২০২৫ ২০:৪৯ Asia/Dhaka
  • অমিত শাহ
    অমিত শাহ

বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদের মধ্যেই লোকসভায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আজ(বুধবার) বিরোধীদের বিক্ষোভের মধ্যেই লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বিলগুলি মূলত সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে আনা হয়েছে;  যাতে গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনও মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী নিজের পদের জন্য সাংবিধানিক রক্ষাকবচ না পান। যদিও ইন্ডিয়া জোট ওই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে। ওয়েলে নেমে বিলের কপি ছিঁড়ে বিক্ষোভ করেছে তৃণমূল।

আজ লোকসভায় ওই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন (সংশোধনী) বিল ২০২৫, সংবিধান (১৩০ তম সংশোধনী) বিল ২০২৫ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস (সংশোধনী) বিল ২০২৫। ওই বিলগুলি মূলত সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে আনা হয়েছে। গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনও মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী নিজের পদের জন্য সাংবিধানিক রক্ষাকবচ না পান, সেটাই নিশ্চিত করা হবে ওই বিলে।

প্রস্তাবিত ওই বিলে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীপদে আসীন অবস্থায় কেউ যদি গুরুতর অপরাধে ৩০ দিনের বেশি জেলে থাকেন তাহলে তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হবে।

কংগ্রেসসহ গোটা বিরোধী শিবির বিলটির বিরোধিতা করেছে। ইন্ডিয়া জোটের বক্তব্য, এটা আসলে বিরোধীদের নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। শাহের বিল পেশের সঙ্গে সঙ্গে তুমুল হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। ওয়েলে নেমে প্রতিবাদে শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা। ছিঁড়ে ফেলা হয় বিলের কপি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা অমিত শাহর দিকে বিলের কপি ছুড়ে দেন। বাধ্য হয়ে অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে হয়।

গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা বাজাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার-মমতা

মমতা বন্দোপাধ্যায়

 

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, এই বিল আসলে সুপার এমার্জেন্সি লাগু করার চেষ্টা। ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে চিরতের ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর হিটলারোচিত আঘাত হানা হচ্ছে এই বিলের মাধ্যমে। এটা আসলে গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টার শামিল।

মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, আজকের দিনটি গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন।’ লোকসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের আনা বিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সাফ বললেন, ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিলের নামে গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা বাজাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।#

পার্সটুডে/জিএআর/২০