ফিলিস্তিন মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা পাশে থাকব: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
https://parstoday.ir/bn/news/event-i152608-ফিলিস্তিন_মুক্ত_না_হওয়া_পর্যন্ত_আমরা_পাশে_থাকব_বাংলাদেশ_জামায়াতে_ইসলামী
গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় হামলা ও বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
(last modified 2025-10-03T12:08:30+00:00 )
অক্টোবর ০৩, ২০২৫ ১৮:০২ Asia/Dhaka
  • সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান
    সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় হামলা ও বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

ফিলিস্তিন প্রশ্নে সারা বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিন যতদিন মুক্ত না হয়, যতদিন স্বাধীন না হয়, আমরা ততদিন তাদের পাশে থাকব। আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, নিষ্ঠুর ইসরাইল বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজায় একের পর এক গণহত্যা পরিচালনা করছে। এই গণহত্যার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে নারী এবং শিশুরা, এই গণহত্যার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণ। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা বিক্ষোভ মিছিল করছি। সারা দুনিয়া এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে, এই গণহত্যার বিরুদ্ধে, এই নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে, এই শিশু হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে। গতকাল যে ত্রাণবাহী জাহাজের নৃশংসভাবে হামলা পরিচালনা করা হয়েছে, পাঁচশ'র অধিক অধিকার কর্মী, ত্রাণবাহী জাহাজের কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এতে বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে মত দিয়েছে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ও গাজাকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরও বিশ্বের কিছু শক্তিধর দেশ ছোট্ট ইসরায়েলের পক্ষে অস্ত্র ও সমর্থন দিয়ে এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এই অনৈতিক সহায়তা মানবতার বিরুদ্ধে এক ধরনের খেলায় রূপ নিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি শহীদের রক্তের বিনিময়ে ফিলিস্তিন স্বাধীনতা অর্জন করবে ইনশাআল্লাহ। আমরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাই— অবিলম্বে ইসরায়েলের হাতকে দমন করুন। দখল হওয়া অঞ্চলগুলো দ্রুত মুক্ত ঘোষণা করুন এবং ত্রাণবাহী জাহাজের কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিন। বাংলাদেশ সরকারের নিন্দা ও মুক্তির দাবিকেও আমরা স্বাগত জানাই। যতদিন ফিলিস্তিন স্বাধীনতা অর্জন করবে না, ততদিন মুসলমানদের লড়াই সহানুভূতি ও সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ ইয়ুথ সিনার্জি অ্যালায়েন্স’-এর বিক্ষোভ মিছিল

এদিকে, গাজা অভিমুখী মানবিক বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ওপর ইসরায়েলের হামলা ও ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ সিনার্জি অ্যালায়েন্স’।

আজ (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে খামারবাড়ি মোড় ঘুরে সংসদ ভবনের সামনে গিসে শেষ হয়।

‘ফ্লোটিলা রক্ষা করো—ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’ শীর্ষক এ কর্মসূচিতে প্রায় ৭০টি পরিবেশ, জলবায়ু, মানবাধিকার, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, শিক্ষা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অংশ নেয়।

বক্তারা বিক্ষোভে অভিযোগ করে বলেন, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের মানবিক ত্রাণবাহী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা একটি শান্তিপূর্ণ ও অহিংস উদ্যোগ ছিল, যা গাজা অবরোধ ভাঙা ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। কিন্তু ২ অক্টোবর ইসরায়েলের নৌবাহিনী ওই বহরের ওপর হামলা চালায়, মানবাধিকারকর্মীদের গ্রেপ্তার ও অপহরণ করে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

তারা আরও বলেন, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা মানবিক দায়বদ্ধতার প্রতীক, অথচ এ ধরনের হামলা ফিলিস্তিনিদের ওপর দীর্ঘদিনের দমন-নিপীড়নেরই ধারাবাহিকতা। 

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বক্তারা জানান, ন্যায়, মানবতা ও স্বাধীনতার সংগ্রামে তারা সংহতি বজায় রাখবেন।#

পার্সটুডে/এমএআর/৩