জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে: আইন উপদেষ্টা
https://parstoday.ir/bn/news/event-i153840-জাতীয়_নির্বাচন_ফেব্রুয়ারির_প্রথমার্ধেই_হবে_আইন_উপদেষ্টা
বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
নভেম্বর ০৯, ২০২৫ ১৫:৩৯ Asia/Dhaka
  • বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল
    বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল

বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর।

আজ (রোববার) সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিস পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর বা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য অনেক কথা বলে। কিছু কথা তারা আন্তরিকভাবেও বলে। সব শুনে মনে হতে পারে নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা আছে। কিন্তু আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। এটাকে বিলম্বিত করার কোনো ইস্যু আছে বলে আমরা মনে করি না। এ নিয়ে দ্বিতীয় কোনো চিন্তা বা না হলে কী হবে, তা আমরা মাথায় রাখছি না।'

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলো যে যা-ই বলুক, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, তারা নির্বাচনীব্যবস্থায় বিশ্বাস করেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের প্রতি আস্থা ও আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করণীয়, সবই করব।'

দেশে দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ভোট দিতে না পারায় মানুষের 'ভোটের অভ্যাস' চলে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, 'দেশে অনেক মানুষ আছে, যাদের বয়স ৩২ থেকে ৩৪ বছর, কিন্তু জীবনে একবারও ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। সম্ভবত প্রায় ৫ কোটি মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। নির্বাচন দেরি থাকলেও এর মধ্যেই পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে, মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।'

আইন উপদেষ্টা তার রাজশাহী সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, 'গতকাল টিটিসি পরিদর্শনে এসেছিলাম। আজ এসেছি লিগ্যাল এইড অফিস দেখতে। আমরা লিগ্যাল এইড সহায়তায় বড় পরিবর্তন এনেছি। আইনগত সহায়তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।'

আইন উপদেষ্টা জানান, মামলার চাপ কমাতে একজন বিচারকের জায়গায় তিনজন বিচারক দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ২০টি জেলাকে বাছাই করে এর মধ্যে ১২টিতে পরীক্ষামূলকভাবে (পাইলটিং) কাজ চলছে। রাজশাহীতেও খুব দ্রুত এ কার্যক্রম শুরু হবে।

রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসের স্থান সংকুলানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'জেলা প্রশাসক আমাদের বারান্দার দিকে কয়েকটি কক্ষ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আইনগত সংস্কারের প্রভাব তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যায় না, কিন্তু এতে মানুষের খুব উপকার হবে। মামলার খরচ ও ঝামেলা কমে যাবে।'

আসামিদের জামিন পাওয়া না-পাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, 'জামিন শুধু বিচারকের ওপর নির্ভর করে না, পুলিশ কী প্রতিবেদন দিচ্ছে তার ওপরও নির্ভর করে। ভিডিও ফুটেজ বা কণ্ঠস্বর শোনার মতো প্রমাণ থাকলে ব্যতিক্রম হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'যেখানে জামিন পাওয়ার যোগ্য, সেখানে জামিন পেতেই পারে। তবে যারা জামিন পেয়ে একই ধরনের অপরাধ করতে পারে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে পারে বা নিষিদ্ধ সংগঠনের তৎপরতা চালাতে পারে, তাদের বেশি জামিন হলে আমরা আতঙ্কিত হব।'#

পার্সটুডে/জিএআর/৯