হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতের প্রতি বাংলাদেশের আহ্বান, দিল্লির প্রতিক্রিয়া
https://parstoday.ir/bn/news/event-i154150-হাসিনাকে_ফিরিয়ে_দিতে_ভারতের_প্রতি_বাংলাদেশের_আহ্বান_দিল্লির_প্রতিক্রিয়া
জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
নভেম্বর ১৭, ২০২৫ ১৮:৫৯ Asia/Dhaka
  • শেখ হাসিনা
    শেখ হাসিনা

জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

আজ (সোমবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এই ব্যক্তিদের দ্বিতীয় কোনো দেশ আশ্রয় দিলে তা হবে অত্যন্ত অবন্ধুসুলভ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞার শামিল। আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন অবিলম্বে দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।'

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে এটি ভারতের জন্য অবশ্য পালনীয় দায়িত্বও বটে।'

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের দুইটিতে মৃত্যুদণ্ড ও অপরটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে। মামলার রায় ঘোষণা করার পর একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়ের ব্যাপারে ভারত অবগত আছে। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ - যার মধ্যে রয়েছে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি এবং স্থিতিশীলতা। এই লক্ষ্য অর্জনে ভারত সর্বদা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকবে।'

২০২৪ সালের ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সারা দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক ও পলাতক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৫৬টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন কার্যালয়ে জমা পড়ে। এর মধ্যে ৫৪টি অভিযোগেই প্রধান আসামি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম রয়েছে। এসব অভিযোগ নিয়ে যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন।

প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন‍্য শুরুতে শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব‍্যুনাল। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তার করে ১৮ নভেম্বর মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেন। প্রথমে এক মাসের মধ‍্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলে পরে কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ তদন্ত সংস্থা চলতি বছরের ১২ মে প্রসিকিউশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে প্রসিকিউশন একাধিক মামলা করে। এর মধ‍্যে ১ জুন প্রথম মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।#