সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবি জানালেন ওয়াইসি
(last modified Mon, 29 Nov 2021 13:57:41 GMT )
নভেম্বর ২৯, ২০২১ ১৯:৫৭ Asia/Dhaka
  • ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি
    ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

তিনি আজ (সোমবার) বলেন, নাগরিকত্ব আইনটি ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে, যা সংবিধানের ১৪ ধারার লঙ্ঘন। সেজন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি ওই আইন প্রত্যাহার করা হোক।    

ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক পরাজয়ের ভয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। দেশের একটি বড় গোষ্ঠী বলছে ‘সিএএ’ সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে। আমরা কেন্দ্রের কাছে দাবি জানাচ্ছি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করা হোক।  

ভারতে বিতর্কিত ও বহুলালোচিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর এবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ‘সিএএ’ প্রত্যাহারেরও দাবি উঠেছে। এরআগে গতকাল (রোববার) বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় জোট ‘এনডিএ’র বৈঠকে, বিজেপির সহযোগী ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। এনডিএ বৈঠকের পরে, দলটির নেতারা  গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন,  ‘যেহেতু কৃষি আইন বাতিল করা হয়েছে এবং এটি বিশেষ করে জনগণের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে,  সেজন্য আমরা সরকারকে উত্তর-পূর্বের মানুষের একই অনুভূতির কথা মাথায় রেখে ‘সিএএ’ বাতিল করার অনুরোধ জানিয়েছি। 

দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনী আনে কেন্দ্রীয়  বিজেপি সরকার। সংশোধিত নয়া নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে ছ’টি ধর্মাবলম্বী (হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি, জৈন ও খ্রিস্টান) ব্যক্তিরা যদি ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে আশ্রয় নিয়ে থাকেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে। কিন্তু এ ভাবে ধর্মের ভিত্তিতে হওয়া আইনে সে সময়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল কংগ্রেসসহ অন্য বিভিন্ন বিরোধী দল ও সামাজিক সংগঠন। এবার আবারও বিতর্কিত ওই আইন প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে। #

পার্সটুডে/এমএএইচ/ আবুসাঈদ/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ