ভারতীয় সংসদের উভয় কক্ষেই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাশ, ক্ষুব্ধ অধীর
ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভা ও উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছে। আজ (সোমবার) সংসদের উভয়কক্ষে বিতর্কিত ও বহুলালোচিত বিল প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিল পাশ হয়।
এ নিয়ে ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী লোকসভায় এ সংক্রান্ত বিল পাশ হওয়ার পরে বলেন, ‘সংসদের এতদিনের ঐতিহ্য নষ্ট হল। মোদি সরকার যে মন থেকে বিল প্রত্যাহার করতে চায়নি সেটা স্পষ্ট। মন থেকে চাইলে কৃষকদের অন্যান্য দাবি-দাওয়া নিয়ে আমরা যে আলোচনা চাচ্ছিলাম সেটা কেন মানা হল না?’
তিনি বলেন, সংসদে অন্তত বলার সুযোগ দেওয়া উচিত। আমরা আলোচনা করতে চাই। কিন্তু সরকার সেই আলোচনায় রাজি নয়। সরকার কেন ভয় পাচ্ছে, জানি না। আমরা শুধু আলোচনা চেয়েছিলাম। বিরোধীদের বলার সুযোগই দেওয়া হল না। কৃষকদের চাপে পড়ে বিল প্রত্যাহার করা হয়েছে। সরকার কৃষকদের মনের ভাষা বুঝতে পারেনি।
আজ শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। এরআগে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে মৃত কৃষকদের তালিকা তৈরি ও মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে আজ লোকসভায় আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনে কংগ্রেস দল।
অন্যদিকে, গত বর্ষাকালীন অধিবেশনের শেষ দিন ১১ আগস্ট সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় হই-হট্টগোল করার জন্য তৃণমূল এমপি দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী ছাড়াও বিভিন্ন দলের ১০ রাজ্যসভা এমপিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাসপেন্ড হওয়া এমপিদের মধ্যে আছেন, শিবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী ও অনিল দেসাই, সিপিএমের এলামারাম করিম, সিপিআইয়ের বিনয় বিশ্বাস, কংগ্রেসের ফুলোদেবী নেতাম, ছায়া বর্মা, রিপুন বোরা, রাজামণি প্যাটেল, সৈয়দ নাসির হুসেন এবং অখিলেশ প্রসাদ সিং।
ওই বিষয়ে তৃণমূল এমপি সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘কারও সঙ্গে কথা না বলে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কোনও নিয়ম মানা হয়নি। কাউকে কথা বলা সুযোগই দেওয়া হয়নি। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দলের এমপিদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।’ #
পার্সটুডে/এমএএইচ/ আবুসাঈদ/২৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।