'উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ আমাদের টার্গেট না করে নির্বাচনে জিততে পারবেন না'
ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির ফায়ারব্রান্ড নেতা যোগী আদিত্যনাথ সম্পর্কে মুসলিম ছাত্রীরা বলেছেন, মুসলিমদের টার্গেট না করে উনি নির্বাচনে জিততে পারবেন না। রাজ্যটিতে বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে এলো।
আজ (শনিবার) হিন্দি গণমাধ্যম ‘জনসত্তা’য় প্রকাশ, প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা ছাত্রীরা উত্তর প্রদেশের আজমগড় কেন্দ্রের প্রথমবারের ভোটার এবং তারা আগামী ৭ মার্চ রাজ্যের শেষ দফার নির্বাচনে ভোট দেবেন।
এ ব্যাপারে সাদাফ সিদ্দিকী নামে একজন বলেন, ‘বিজেপি সরকার ব্যর্থ হয়েছে কারণ, বিজেপি দেশে ‘ধর্মনিরপেক্ষতার অবসান’ ঘটাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তারা শুধু মুসলিমদের সম্পর্কে কথা বলে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ১০ মার্চের পর দেখে নেবেন! তাছাড়া তিনি ৮০ শতাংশ বনাম ২০ শতাংশ সম্পর্কে কথা বলেছেন। মুসলিম সম্প্রদায়কে টার্গেট না করে নির্বাচনে জিততে পারবেন না বলেই তিনি এ সব কথা বলছেন।’
শিবলি ন্যাশনাল কলেজের বিএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং উত্তর প্রদেশের আজমগড় বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ভোটার মুসলিম ছাত্রীরা রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছেন।
শিক্ষিকা হতে চাওয়া ১৯ বছর বয়সী আরিশা জামালি বলেন, ‘তরুণরা শিক্ষিত হলেই দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। উন্নয়ন তখনই হবে যখন শিক্ষা সবার জন্য সাশ্রয়ী হবে।’
ডাক্তার হতে ইচ্ছুক আরিশার বন্ধু সানুবি ইমতিয়াজ বলেন, ‘সরকারের উচিত স্বাস্থ্যসেবার দিকে নজর দেওয়া। আমরা সকলেই দেখেছি করোনার সময় কী হয়েছিল? আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্র সম্পূর্ণভাবে উন্মোচিত হয়ে গেছে। এটি সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছে।’
সানুবি বলেন, দেশের রাজনীতিতে নারীদের থাকা প্রয়োজন।তিনি বলেন, সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ছাত্রদের জন্য অনেক কিছু করেছে কিন্তু আমি (এসপি প্রধান) অখিলেশ যাদবের জাতপাতের রাজনীতির সাথে একমত নই। ভবিষ্যতে, যদি কোনও নারীর নেতৃত্বে কোনও দলের সাথে আরও ভাল বিকল্প আসে, আমি আমার পছন্দ পরিবর্তন করব।’
সানুবি ইমতিয়াজ আরও বলেন, ‘মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন’ (মিম) এবং বিজেপির মধ্যে রাজ্যের জন্য অখিলেশ একটি ভাল মধ্যম স্থল বলে মনে হচ্ছে। তিনি কট্টর মুসলিমও নন বা বিজেপির মতো হিন্দুত্ববাদীও নন। তিনি ক্ষমতায় এলে সকলের উন্নয়ন নিশ্চিত করবেন। শুধু মুসলিম বলেই আমি শুধু মুসলিমদের উন্নয়নের কথা ভাবতে পারি না। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে উন্নয়ন সবার কাছে পৌঁছাতে হবে।’
২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, সমাজবাদী পার্টি আজমগড়ে ১০ টি আসনের মধ্যে ৫ টিতে জিতেছিল। যেখানে বিএসপি পেয়েছিল ৪টি এবং বিজেপি মাত্র একটি আসন পেয়েছিল। ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, সমাজবাদী পার্টি ৯টি আসন এবং বিএসপি মাত্র একটি আসনে জিতেছিল।
বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে ৪০৩ টি আসনে মোট সাত দফায় বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। এরইমধ্যে ষষ্ঠ দফায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং ৭ম ও শেষ দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ মার্চ। ফল ঘোষণা হবে আগামী ১০ মার্চ।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/ বাবুল আখতার /৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।