রাজস্থানের মুসলিমরা শান্তিতে রমযান কাটাতে পারেনি, ঈদও শান্তিতে হয়নি: ওয়াইসি
(last modified Thu, 05 May 2022 08:32:32 GMT )
মে ০৫, ২০২২ ১৪:৩২ Asia/Dhaka
  • রাজস্থানের মুসলিমরা শান্তিতে রমযান কাটাতে পারেনি, ঈদও শান্তিতে হয়নি: ওয়াইসি

ভারতের মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি রাজস্থানের যোধপুরের সহিংসতার বিষয়ে বলেছেন, রাজস্থানের মুসলিমরা শান্তিতে রমযান কাটাতে পারেনি এবং ঈদও শান্তিতে হয়নি।

বুধবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়াইসি হিন্দুত্ববাদী ‘বিজেপি’ এবং ‘আরএসএস’কে টার্গেট করে আরও বলেন, বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের লোকেরা বারবার রাজস্থানের পরিবেশ নষ্ট করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রীর যোধপুরে এত তাড়াতাড়ি আগমন প্রমাণ করে যে বিজেপি তার রাজনীতি উজ্জ্বল করতে যে কোনও পর্যায়ে যেতে পারে।  যোধপুর সহিংসতায় এ পর্যন্ত মোট ১৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওয়াইসি বলেন, মোদি সরকার ঘৃণার আগুনে ইন্ধন যোগাচ্ছে এবং তার মন্ত্রীরা তাতে ঘি ঢালছেন। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের আগের সরকারেও মুসলমানরা পুলিশি বর্বরতা ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দ্বারা জুলুমের শিকার হয়েছিল এবং এই সরকারেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।  

রাজস্থানের কংগ্রেসশাসিত অশোক গেহলট সরকার সম্পর্কে ওয়াইসি আরও বলেন, গেহলট সরকার কী ‘আরএসএস’কে এতটাই ভয় পায় যে নিজেদের সাংবিধানিক দায়িত্বও পালন করতে চায় না? রাজস্থানের মুসলমানরা শান্তিতে রমযান কাটাতে পারেনি এবং ঈদও শান্তিতে হয়নি। গেহলট সরকার এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিলে কী ওই গুন্ডাদের সাহস হতো?    

হিন্দি গণমাধ্যম ‘এবিপিনিউজ’ সূত্রে প্রকাশ, রাজস্থানের যোধপুরে ঈদের দিন দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। সহিংসতা ঠেকাতে যোধপুরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে শহরের রাস্তায় ও ছাদেও পুলিশের জওয়ান মোতায়েন রয়েছে। যোধপুর সহিংসতার পর রাজস্থান পুলিশের মহাপরিচালক এমএল লাথার বলেছেন, ‘যোধপুরের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিশ এ পর্যন্ত মোট ১৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে। সংঘর্ষে ৯ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তারা সবাই নিরাপদে আছেন। ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি এবং তিনজনই আশঙ্কামুক্ত। শান্তি বজায় রাখতে, গুজবে বিশ্বাস না করার এবং গুজবের বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের অবিলম্বে অবহিত করার জন্য পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। 

সহিংসতার পর থেকে যোধপুর জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের এডিজি বলেন, যোধপুরে এখন শান্তি রয়েছে,  দুপুরের পর থেকে কোনও ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি, বলা যেতে পারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সেখানে শান্তি রয়েছে। #

পাসটুডে/ এমএএইচ/ বাবুল আখতার /৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

  

 

 

ট্যাগ