পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার
ভারতে জানুয়ারিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা
ভারতে আগামী জানুয়ারিতে কোভিড -১৯ সংক্রমণের ঘটনা দ্রুত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ (বুধবার) গণমাধ্যমে ওই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সরকারি সূত্র মহামারী ছড়ানোর আগের পদ্ধতির উল্লেখ করে এ কথা জানিয়েছে। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘অতীতে দেখা গেছে পূর্ব এশিয়ায় কোভিড ১৯-এর প্রাদুর্ভাবের ৩০/৩৫ দিন পরে মহামারীটির একটি নতুন ঢেউ ভারতে এসেছিল। এটি একটি প্রবণতা।’
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র অবশ্য বলছে, সংক্রমণের তীব্রতা কম। কোভিডের নতুন ঢেউ এলেও সংক্রমিত ব্যক্তিদের মৃত্যুর হার এবং হাসপাতালে ভর্তির হার অনেক কম হবে।
সূত্রে প্রকাশ, গত দু’দিনে ভারতে আসা ৬ হাজার আন্তর্জাতিক যাত্রীকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৩৯ জনের রিপোর্ট 'পজিটিভ' এসেছে। আগামী (বৃহস্পতিবার) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য দিল্লি বিমানবন্দরে কোভিড-১৯ পরীক্ষার সুবিধা খতিয়ে দেখবেন। সরকার আগামী (শনিবার) থেকে প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের দুই শতাংশের র্যান্ডম কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, ব্যাংকক এবং সিঙ্গাপুর থেকে আগত যাত্রীদের জন্য এয়ার সুবিধা ফর্ম পূরণ করা এবং ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশে কোভিড ১৯-এর ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধির সাথে সাথে সরকার জনগণকে সতর্ক থাকতে বলেছে এবং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার-শাসিত অঞ্চলগুলোকে যে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে। এরিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য কোভিডের ঘটনা উত্থান পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রস্তুতি পর্যালোচনায় বৈঠক করেছেন। কোভিড ১৯-এর ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধির যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গতকাল (মঙ্গলবার) সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে একটি 'মক ড্রিল' পরিচালিত হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য বলেছেন, বিশ্বে কোভিডের ক্রমবর্ধমান ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশ সতর্ক রয়েছে এবং এটি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত রয়েছে। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/২৮