গরুর গোশত খেলেও দলের এতে কোনও সমস্যা নেই: মেঘালয় ‘বিজেপি’র সভাপতি
ভারতের মেঘালয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি আর্নেস্ট মাউরি বলেছেন, তিনি গরুর গোশত খান এবং তার দলের এতে কোনো সমস্যা নেই। গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি তিনি ওই মন্তব্য করেছেন।
৯০ শতাংশ খ্রিস্টান অধ্যুষিত মেঘালয়ে নির্বাচনের আগে গরুর গোশত ইস্যুতে বিজেপি রাজ্য সভাপতির ওই মন্তব্যকে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে নির্বাচন হবে। তার আগে এবার গণমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে আর্নেস্ট মাউরি ‘এনপিপি’র সাথে জোট, গরুর গোশত নিষিদ্ধ এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ‘সিএএ’র মতো বিষয় নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
মেঘালয়ের ওই বিজেপি নেতাকে প্রশ্ন করা হয়, মেঘালয়ের মতো রাজ্যে, যেখানে কমপক্ষে ৯০ শতাংশ মানুষ খ্রিস্টান ধর্ম অনুসরণ করে, আপনি কী বিশ্বাস করেন যে সাধারণ মানুষ গরুর গোশত নিষিদ্ধ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ‘সিএএ’ এবং অন্যান্য বিষয়ে বিজেপির কট্টরপন্থি অবস্থানকে মেনে নিতে প্রস্তুত?
জবাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি আর্নেস্ট মাউরি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারে বিজেপি ক্ষমতায় আসার ৯ বছর হয়ে গেছে এবং আমরা এ সময়ে কোনো চার্চকে আক্রমণের মুখে দেখিনি। গোরুর মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রেও কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আমি গোরুর মাংস খাই এবং আমি বিজেপিতে আছি, এতে কোনো সমস্যা নেই। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে মেঘালয়ের মানুষ এবার বিজেপির সঙ্গে আছে।’বিজেপির ওই নেতা আরও বলেন, ‘তৃণমূল এখানে জিতলে রাজ্যে বড় আকারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঘটবে। আমরা অনেকদিন ধরে এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, এবং আমরা এখানে আরও বাংলাদেশীকে আমন্ত্রণ জানাতে পারি না।’
এনপিপির সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মেঘালয়ে আমরা ‘এনপিপি’র সাথে কোনো জোট করিনি, এবং ২০১৮ সালেও আমরা তা করিনি। আমরা আমাদের নিজেদের মতো লড়াই করছি, এবং তারা তাদের ব্যক্তিগত শক্তিতে লড়াই করছে। ‘এনপিপি’ গত ৫ বছর ধরে বড় আকারের দুর্নীতিতে জড়িত এবং আমাদের দল দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের অবস্থান নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মেঘালয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি আর্নেস্ট মাউরি।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/১৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।