মুসলিমদের পূর্বপুরুষরা গরুর গোশত খেতেন না: হিমন্তবিশ্ব শর্মা
(last modified Sat, 09 Oct 2021 12:28:40 GMT )
অক্টোবর ০৯, ২০২১ ১৮:২৮ Asia/Dhaka
  • হিমন্তবিশ্ব শর্মা
    হিমন্তবিশ্ব শর্মা

ভারতের বিজেপিশাসিত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছেন, মুসলিমদের পূর্বপুরুষরা গরুর গোশত খেতেন না। তিনি আজ (শনিবার) ‘ইণ্ডিয়া টুডে কনক্লেভ-২০২১’ –এ দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে ওই মন্তব্য করেন।

আজ বেসরকারি হিন্দি টেলিভিশন চ্যানেল ‘আজতক’-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ, রাজ্যে ধর্মস্থান এলাকায় গরুর গোশত নিষিদ্ধের বিষয়ে হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, ‘অসমের অধিকাংশ মুসলিম ধর্মান্তরিত, তাদের পূর্বপুরুষরা গরুর গোশত খেতেন না। এটা যদি তাদের মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে আপনাদের পূর্বপুরুষরা গরুর গোশত খায়নি, আপনারা অন্তত এর ব্যবহারকে উৎসাহিত করবেন না, তাহলে এতে ভুল কোথায়?’      

 তিনি বলেন, ‘যারা এখন মুসলিম, তাদের দাদা, পরদাদা গরুর গোশত খায়নি, যদি আমি তাদের পারিবারিক ঐতিহ্যের কথা মনে করিয়ে দিই যে আপনাদের পূর্বপুরুষরাও এটা করেননি। আপনারা এটা করতে পারেন কিন্তু আমাদের মন্দিরের আশেপাশে করবেন না, তাহলে এতে দোষের কী?’ 

মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আরও বলেন, ‘অসমের মুসলিমরা ধর্মীয় স্থানের ৫  কিলোমিটারের মধ্যে গরুর গোশত ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞায় খুশি এবং এতে সম্প্রীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনারা কী দেখেছেন অসমের কোনও মুসলিম সংগঠনের গরুর গোশত খাওয়ার নয়া নিয়মের বিরোধিতা করেছে? এ সংক্রান্ত প্রতিবাদ শুধুমাত্র বাম উদারপন্থীরা করে থাকে।’ 

অসমে কথিত অবৈধ দখলদারি উচ্ছেদের প্রশ্নে হিমন্তবিশ্ব শর্মা তাঁর সাফাইতে বলেন, ‘অবৈধ দখল অপসারণের সময় যাদের অপসারণ করা হয়েছিল তাদের অধিকাংশের ‘সন্দেহজনক নাগরিকত্ব’ ছিল, কিন্তু তাদের নাগরিকত্ব সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের সরানো হয়নি। তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কারণ এটি ৭৭ হাজার একর জমি, এবং এটি শুধুমাত্র ১ হাজার পরিবার দ্বারা দখল করা হয়েছে। অসমে আমাদের একটি নিয়ম আছে যে একটি পরিবার মাত্র দুই একর জমির মালিক হতে পারে। সুতরাং এ ভাবে এই  পরিবারগুলো রাখতে পারে মাত্র ২ হাজার একর জমি। তাহলে বাকি ৭৫ হাজার একর জমির কী হবে?’ 

সম্প্রতি অসমের দরং জেলার ধোলপুরে কথিত অবৈধ দখলদারি উচ্ছেদের সময় স্থানীয় মানুষজন বাধা দিলে পুলিশের গুলিতে দু’জন মুসলিম বাসিন্দা নিহত হয়। উচ্ছেদ হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার মুসলিম বাসিন্দারা। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে অসমের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।#

 

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।