তেলেঙ্গানায় মুসলিম ভোট পেতে সক্রিয় বিআরএস-কংগ্রেস-মিম
https://parstoday.ir/bn/news/india-i131146-তেলেঙ্গানায়_মুসলিম_ভোট_পেতে_সক্রিয়_বিআরএস_কংগ্রেস_মিম
ভারতের তেলেঙ্গানায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মুসলিম ভোট পেতে ক্ষমতাসীন ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) এবং বিরোধী কংগ্রেস দল জোরালো তৎপরতা শুরু করেছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
নভেম্বর ২২, ২০২৩ ১৯:০৪ Asia/Dhaka
  • তেলেঙ্গানায় মুসলিম ভোট পেতে সক্রিয় বিআরএস-কংগ্রেস-মিম

ভারতের তেলেঙ্গানায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মুসলিম ভোট পেতে ক্ষমতাসীন ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) এবং বিরোধী কংগ্রেস দল জোরালো তৎপরতা শুরু করেছে।

রাজ্যটিতে মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) ৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে, তারাও মুসলিম ভোট সংহত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্য আসনগুলোতে তারা বিআরএসকে সমর্থন করছে। বর্তমানে ৭ আসন মিমের দখলে রয়েছে। রাজ্যে আগামী ৩০ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।   

১১৯ আসন সমন্বিত তেলেঙ্গানা বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টিতে নির্ণায়ক শক্তি মুসলিম ভোটাররা। রাজ্যে মোট ১৩ শতাংশ মুসলিম ভোট রয়েছে। রাজ্যটিতে মোট ভোটার ৩.২৬ কোটি। মুসলিম ভোটাররা ‘বিআরএস’-এর ওপর ভরসা করবেন বলে আত্মবিশ্বাসী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও(কেসিআর)।  

অন্যদিকে, কর্ণাটকে যেভাবে মুসলিম ভোটাররা কংগ্রেস দলকে ক্ষমতায় আনার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তেলেঙ্গানাতেও তেমনটা হওয়ার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। রাজ্যটিতে কংগ্রেসের মাত্র ১ জন মুসলিম বিধায়ক রয়েছেন।

‘মিম’ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কয়েকটি ধর্মীয়-সামাজিক মুসলিম সংগঠনের মঞ্চ ‘মুসলিম ইউনাইটেড ফোরাম’ ইতোমধ্যে রাজ্যে ক্ষমতাসীন ‘বিআরএস’কে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, ‘জমিয়তে উলামা’ এবং ‘তেহরিক-ই-মুসলিম শাব্বান’-এর মতো কিছু সংগঠন কংগ্রেসকে সমর্থন করছে। মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর এবং তার ছেলে বিআরএস-এর নির্বাহী সভাপতি কেটিআর ভোটের প্রচারে উর্দুতে বক্তব্য রাখছেন। উভয় নেতা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তেলেঙ্গানায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ দেখা দিতে পারে। কারফিউ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। 

অন্যদিকে, কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ আলীর দাবি- সংখ্যালঘুদের জন্য কিছুই করেনি বিআরএস। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের অভিযোগ- বিআরএস এবং মিমের সঙ্গে বিজেপির গোপন বোঝাপড়া রয়েছে। বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ করতে মিমের বড় ভূমিকা রয়েছে বলেও অভিযোগ কংগ্রেসের। 

এবারের নির্বাচনে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং সাবেক এমপি মুহাম্মদ আজহারউদ্দিন কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন। তিনি জুবিলি হিলস বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) মিম প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন এমপি  নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসের প্রার্থী ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ আজহারউদ্দিনকে  ‘প্যারাস্যুটে নেমে আসা নেতা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। আজ (বুধবার) পাল্টা জবাবে আজহারউদ্দিন ‘মিম’কে ‘ভোট কাটার দল’ বলে কটাক্ষ করেছেন। কংগ্রেসকে পরাজিত করতে বিআরএস এবং বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই বেছে বেছে মিম প্রধান ওয়াইসি প্রার্থী দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস প্রার্থী মুহাম্মদ আজহারউদ্দিন। রাজ্যটিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসলে এবং মুহাম্মদ আজাহারউদ্দিন জয়ী হলে তাকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। 

এদিকে, মুসলিম ভোটের দাবিদার বিভিন্ন দলের বাস্তবতা হচ্ছে জনসংখ্যা অনুযায়ী কেউ প্রার্থী দেয়নি। ‘মিম’ দল ছাড়া বড় দলগুলোর তালিকায় মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা খুবই কম। কংগ্রেস মাত্র পাঁচটি টিকিট দিয়েছে আর বিআরএস দিয়েছে মাত্র তিনটি। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি কোনো মুসলমানকে টিকিট দেয়নি। জনসংখ্যা অনুসারে, অবশ্য মুসলমানদের কমপক্ষে ১৭ টি টিকিট পাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।  #         

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমআরএইচ/২১ 

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।