ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন বাড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল
ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোট ভাগ হওয়ার সুযোগ না দিতে মসজিদের ইমামদের সঙ্গে প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল (বুধবার) দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি ওই আহ্বান জানান।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, "ভোট ভাগাভাগি হলে দিল্লির সাতটি আসনেই বিজেপি’র জয়ী হতে সুবিধা হবে। যদি আপনাদের ভোট ভাগ হয়ে যায় তাহলে দেশের প্রচুর ক্ষতি হবে।" এসময় তিনি ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণাও দেন।
দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে ওয়াকফভুক্ত মসজিদের ইমামদের প্রত্যেক মাসে ১৮ হাজার এবং মুয়াজ্জিনদের ১৬ হাজার টাকা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য যথাক্রমে ১৪ হাজার ও ১২ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে প্রায় দুইশ’ মসজিদ রয়েছে। এছাড়া আরও প্রায় দেড় হাজার মসজিদ রয়েছে।

দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান বিধায়ক আমানতুল্লাহ খান বলেন, ‘আমরা আগে ইমামদের ১০ হাজার টাকা করে দিতাম তা বাড়িয়ে ১৮ হাজার করা হয়েছে। মুয়াজ্জিনরা যে ৯ হাজার টাকা পেতেন তা বাড়িয়ে ১৬ হাজার টাকা করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের বর্ধিত বেতন ফেব্রুয়ারিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেয়া হবে। যারা ওয়াকফ বোর্ডের অধীনস্থ ইমাম নন এমন কমপক্ষে এক হাজার পাঁচশ’ মসজিদ আছে গোটা দিল্লিতে। এসব মসজিদের ইমামকে ১৪ হাজার ও মুয়াজ্জিনকে ১২ হাজার টাকা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে তা বাস্তবায়ন হবে।’ ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা অনেকদিন ধরে বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘দিল্লিতে বিপুলসংখ্যক ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে, কিন্তু পূর্ববর্তী সরকারগুলো যথাযথভাবে তা ব্যবহার করেনি, যার ফলে ওয়াকফ বোর্ড সর্বদা দুর্বল হয়ে ছিল। আমাদের সরকার ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আমানতুল্লাহ খানকে ওয়াকফ বোর্ডকে আত্মনির্ভরশীল করার পদক্ষেপ নিতে বলেছিল। আমানতুল্লাহ খান ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তির ভাড়া বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী করার কাজ শুরু করায় তার ফল পাওয়া যাচ্ছে। ওয়াকফ সম্পত্তির ভাড়া হিসেবে কয়েক লাখ টাকা জমা হয়েছে। এসব অর্থ মুসলিমদের কল্যাণের জন্য ব্যয় করা হবে।’
দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তিতে সমাজের কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য স্কুল-কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে এবং এজন্য যত টাকা খরচ হবে সরকারের তার ব্যবস্থা করবে বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/২৪
খবরসহ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সব লেখা ফেসবুকে পেতে এখানে ক্লিক করুন এবং নোটিফিকেশনের জন্য লাইক দিন