দিল্লির পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক, সেনা নামানো উচিত: কেজরিওয়াল
https://parstoday.ir/bn/news/india-i77757-দিল্লির_পরিস্থিতি_খুবই_উদ্বেগজনক_সেনা_নামানো_উচিত_কেজরিওয়াল
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে সহিংস বিক্ষোভ ও উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করায় দিল্লিতে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তিনি চিঠি লিখেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০ ১৩:২৩ Asia/Dhaka
  • হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল
    হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে সহিংস বিক্ষোভ ও উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করায় দিল্লিতে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তিনি চিঠি লিখেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আজ (বুধবার) সকালে দিল্লিতে নিহতের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছেছে। এর পরই রাজধানীর পরিস্থিতি নিয়ে টুইটারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেজরিওয়াল। তিনি লেখেন, ‘‘রাতভর অনেকে মানুষের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি পুলিশ। মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফেরানো যায়নি। এবার সেনা নামানো উচিত। উচিত ক্ষতিগ্রস্ত সব জায়গায় অবিলম্বে কারফিউ জারি করা। এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি আমি।’’

আরও পড়ুন: দিল্লির সহিংসতায় নিহত ২০, আহতদের বড় হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ

এর আগে, মঙ্গলবারও দিল্লিতে সেনা নামানোর পক্ষে মত দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আরও পুলিশ মোতায়েন হবে বলে সে সময় আশ্বাস দেওয়া হয়। গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে সবমিলিয়ে ৪৫ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

কেজরিওয়ালের বাসভবন ঘিরে বিক্ষোভে পুলিশের জলকামান ব্যবহার

মধ্যরাতে কেজরিওয়ালের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ

এদিকে, দিল্লির সহিংসতা মোকাবেলায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এবং দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে কেজরিওয়ালের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকশ’ শিক্ষার্থী ।

আজ ভোর-রাত সাড়ে ৩ টার দিকে কেজরিওয়ালের বাসভবন ঘিরে এ বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে দিল্লি পুলিশ।

বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, কেজরিওয়ালকে সংঘর্ষ এলাকায় যেতে হবে। তাকে সেখানে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দিল্লিতে শান্তি ফেরানো তার দায়িত্ব। এছাড়াও, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেজরিওয়ালের সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা সবাইকে জানানোর দাবি জানায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।

কেজরিওয়ালের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল জামিয়া কোঅর্ডিনেশন কমিটি ও অ্যালুমনি অ্যাসোসিয়েশন অফ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া।

জামিয়া কোঅর্ডিনেশন কমিটির পক্ষে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত আটক বিক্ষোভকারীদের ছেড়ে দেয়নি পুলিশ। সবার ফোন বন্ধ। আমরা ছাত্র-ছাত্রী ও অ্যালুমনিদের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই চিন্তিত। এমনকি আমাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে, মারধরও করা হয়েছে।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে আম আদমি পার্টির বিধায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেজরিওয়াল। সংঘর্ষের ফলে দিল্লির যে সব এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কী করণীয় তা নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।