'উন্নয়নের মধ্য দিয়েই বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দেওয়া হবে'
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, উন্নয়নের মধ্য দিয়েই বিরোধীদের কুৎসা, অপপ্রচারের জবাব দেওয়া হবে। তিনি আজ (রোববার) হাবড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ওই মন্তব্য করেন।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আজ বিশেষভাবে বিজেপি যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় তৎপরতা চালাচ্ছে তার তীব্র সমালোচনা করেন। একইসঙ্গে তিনি বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেসেরও সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘বিজেপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদিতে একদম মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। ওরা প্রত্যেকদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুকথা বলছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন লকডাউনের সময়ে মন্দির, মসজিদ, গির্জা সব খোলা হবে এবং এসব স্থানে দশজন করে যাবেন। কিন্তু বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি বললেন, আমরা মানি না। আমরা লকডাউন পিরিয়ড মানি না। কিন্তু যেই কেন্দ্রীয় সরকার পরের দিন একটা বিজ্ঞপ্তি দিল তিনি চুপ হয়ে গেলেন। বিজেপি’র এটা হল দ্বিচারিতা চরিত্র।’
জ্যোতিপ্রিয় বাবু বলেন, ‘বিজেপি বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি ও গোলযোগ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। অশোকনগরে অশান্তি করার চেষ্টা করছে। হাবড়ায় কিছু করতে পারছে না, আমরা এখানে শক্তিশালী বলে। ওরা গাইঘাটা থানার সামনে বসে আছে, বনগাঁয় গিয়ে অশান্তি করছে। ওরা কোনও জায়গায় আম্পান জনিত দুর্যোগের জন্য ত্রাণ দেয়নি। মানুষজনকে ৫ কেজি চাল, ৫ কেজি ডাল, ৫ কেজি তেল দিয়েছে- এমন কিছু করেনি। আমরা আমাদের ত্রাণসামগ্রী বিডিও’র (সমষ্টি উন্নয়ন কর্মকর্তা) হাতে হস্তান্তর করছি। তিনি যেখানে ভালো বুঝবেন এসব ত্রাণ দেবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ওদের কুৎসা, অপপ্রচারের জবাব টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই দেবো। এজন্য আমরা নিজেদের টিমকে শক্তিশালী করেছি। কুৎসা, অপ্রচার করলেই তার জবাব দেওয়া হবে। কিন্তু কুৎসার মধ্য দিয়ে জবাব নয়। ওরা গালি দিলেও আমরা গালি দেবো না। আমাদের সরকার হচ্ছে ‘মা-মাটি- মানুষ’-এর সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে বাঁচানোর, সুস্থ রাখার যে চেষ্টা করছেন, সেই প্রচেষ্টা চলবে।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিজেপি’র সঙ্গে কংগ্রেস ও সিপিএম দুই লেজুড় জুটেছে! কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতারা সন্দেশখালিতে চলে যাচ্ছেন, কিন্তু তাঁদের হাতে কোনও ত্রাণসামগ্রী নেই! বাচ্চাদের জামাকাপড়, চাল, ডাল ইত্যাদি কিছুই নেই। বিরোধী দলনেতা ও সিপিএমের বিধানসভার দলনেতা সেখানে যাচ্ছেন কিন্তু তাঁদের হাতে কোনও ত্রাণ নেই। লোকেদেরকে মুখ দেখাতে যাচ্ছেন। যেই ‘প্রেস’ পেয়ে গেলেন তারপরে চলে গেলেন। এ ধরণের প্রেসের রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে কুৎসা, অপ্রচারের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। হাবড়ায় আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের টিমকে শক্তিশালী করেছি। আরও শক্তিশালী করা হবে।’
উন্নয়নের মধ্য দিয়েই হাবড়ায় বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমকে মোকাবিলা করা হবে এবং কুৎসা, অপপ্রচারের জবাব দেওয়া হবে বলেও পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মন্তব্য করেন।
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।