অযোধ্যায় ৪০০ বছর দাঁড়িয়ে ছিল বাবরী মসজিদ : ওয়াইসি, কোলকাতায় প্রতীকি বিক্ষোভ
https://parstoday.ir/bn/news/india-i85141-অযোধ্যায়_৪০০_বছর_দাঁড়িয়ে_ছিল_বাবরী_মসজিদ_ওয়াইসি_কোলকাতায়_প্রতীকি_বিক্ষোভ
ভারতের মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি বলেছেন, আগামী প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দিন এবং তাদের শেখান যে ৪০০ বছর ধরে অযোধ্যায় বাবরী মসজিদ দাঁড়িয়ে ছিল। আজ ৬ ডিসেম্বর বাবরী মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকী উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ডিসেম্বর ০৬, ২০২০ ১৮:৩৬ Asia/Dhaka

ভারতের মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি বলেছেন, আগামী প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দিন এবং তাদের শেখান যে ৪০০ বছর ধরে অযোধ্যায় বাবরী মসজিদ দাঁড়িয়ে ছিল। আজ ৬ ডিসেম্বর বাবরী মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকী উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় কয়েকশো বছরের পুরোনো বাবরী মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল, ‘করসেবক’ নামধারী উগ্রহিন্দুত্ববাদী জনতা। 

ওয়াইসি আজ বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা ওই মসজিদের হলে নামাজ পড়তেন এবং এর প্রাঙ্গণে রোজা ভাঙতেন। যখন তাঁরা মারা যেতেন তাঁদেরকে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হতো।’

আসাদউদ্দিন ওয়াইসি আরও বলেন, ‘১৯৪৯ সালের ২২/২৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে আমাদের বাবরী মসজিদকে অপবিত্র করা হয়েছিল এবং ৪২ বছর পর্যন্ত তাকে অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছিল। আজকের দিনেই ১৯৯২ সালে,  আমাদের মসজিদকে গোটা বিশ্বের সামনে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এ জন্য যারা দায়ী তাদের একদিনের জন্যও শাস্তি দেওয়া হয়নি, এই না-ইনসাফি কখনও ভুলবেন না।’

সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ শুরু করার পরে বাবরী মসজিদ ধ্বংসের এটি প্রথম বার্ষিকী। বাবরী মসজিদ ধ্বংসের সমস্ত অভিযুক্তও আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে  আজ অযোধ্যায় বাবরী মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকীতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনগণকে সুরক্ষার আশ্বাস দিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী রুটমার্চ করেছে।

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতায় আজ ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে বাবরী মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকীতে প্রতীকি কালা দিবস পালন কর্মসূচিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে। এ সময়ে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। প্ল্যাকার্ডে ‘বাবরী মসজিদ আমাদের হৃদয়ে, কেউ তাকে ধ্বংস করতে পারবে না’, ‘বাবরী মসজিদ চিরদিন রয়ে যাবে আমাদের অন্তরে’, ‘কর্পোরেট বন্ধু, কৃষক বিরোধী ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক’, ‘ফ্যাসিবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি নিপাত যাক’ ইত্যাদি লেখা ছিল।  

মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘৫০০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদকে ভারতের অশুভ ফ্যাসিবাদী শক্তি যারা দেশের ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে না, যারা অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান জানাতে পারে না, সেই অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি তারা ৫০০ বছরের মসজিদকে ধুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল। আমরা সেই দিনকে স্মরণ করে আজকে এখানে প্রতীকি কালা দিবস পালনের ডাক দিয়েছিলাম।’

মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘এইদিনেই ভারতের ফ্যাসিবাদী শক্তি অযোধ্যায় বাবরী মসজিদকে গুঁড়িয়ে দিয়ে উল্লাস দিবস পালন করেছিল। এই দিনেই সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব আম্বেদকরের প্রয়াণ দিবস। আমরা বাবাসাহেব আম্বেদকরকে স্মরণ করে ভারতের সংবিধানকে রক্ষা করবো।’ সংবিধানে ভারতের সমস্ত মানুষের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার দেওয়া হয়েছে বলেও ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান মন্তব্য করেন।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/মো.আবুসাঈদ/০৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।