ইকো সম্মেলনে যোগ দিতে তুর্কমেনিস্তানের পথে ইরানের প্রেসিডেন্ট
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i100526-ইকো_সম্মেলনে_যোগ_দিতে_তুর্কমেনিস্তানের_পথে_ইরানের_প্রেসিডেন্ট
ইরানের প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি'র নেতৃত্বে একটি উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধি দল ইকোনমিক কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সংক্ষেপে 'ইকো'র শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য আজ তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী এশকাবাদ সফরে যাচ্ছেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
নভেম্বর ২৭, ২০২১ ১৮:২২ Asia/Dhaka

ইরানের প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি'র নেতৃত্বে একটি উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধি দল ইকোনমিক কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সংক্ষেপে 'ইকো'র শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য আজ তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী এশকাবাদ সফরে যাচ্ছেন।

১৫তম এ সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে জোরদার করা বিশেষ করে পারস্পরিক সহযোগিতার পথে বিরাজমান বাধা দূর করা এবং ইকোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে তেহরানের দৃষ্টিভঙ্গি ও বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরবেন।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তুর্কমেনিস্তানে আগামীকাল অনুষ্ঠেয় ইকো শীর্ষ সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি কয়েকটি দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, ইকোর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ইরানের সঙ্গে ইকোভুক্ত ১৫টি দেশের সীমান্ত রয়েছে এবং ভৌগোলিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে হওয়ার কারণে বিশেষ করে সমুদ্রপথে ইরানের মাধ্যমে অন্যদেশের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এ দেশটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এ ছাড়া, ইরানের রয়েছে বিপুল জ্বালানি এবং সেই জ্বালানি অন্য দেশে স্থানান্তরের সুযোগ থাকায় ইরানের গুরুত্ব বহুগুণে বেড়েছে। 

ইকো শীর্ষ সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে তেহরানের ব্যাপক তৎপরতার কারণে এই জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিস্তারের বিরাট সুযোগ তৈরি হয়েছে। শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে গত শুক্রবার ইরান, তুর্কমেনিস্তান ও কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্টদের বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে সহযোগিতা বিস্তারের উপায় নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে কাজাখস্তান থেকে মালবাহী ট্রেন তুর্কমেনিস্তানে যাবে এবং সেখান থেকে তা ইরানে প্রবেশ করবে। যা তিন দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে ভূমিকা রাখবে।

ইকো সম্মেলনে ইরানের উপস্থিতির তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে, এতে করে আঞ্চলিক কূটনীতি আরো বেশি জোরদার হবে। অতীতে অনুষ্ঠিত ইকো শীর্ষ সম্মেলনে ইরানের পক্ষ থেকে উত্থাপিত বহু প্রস্তাব গুরুত্বসহকারে নেয়া হয়েছে। নিজস্ব অর্থ বিনিময়ের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, অর্থনীতি, শিল্প, কৃষি, জ্বালানি প্রভৃতি ক্ষেত্রে এ দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বিস্তারের বিষয়ে ইরান প্রস্তাব তুলে ধরেছে। অনেকগুলো প্রস্তাব এরই মধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

ইকোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বিস্তারের ব্যাপক সুযোগ থাকা সত্বেও আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংকট ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এ সহযোগিতার পথে বাধা হয়ে আছে। এ কারণে এবারের সম্মেলন বিরাজমান বাধা অপসারণের সুযোগ এনে দিয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। ইসলামি ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরঘিজিস্তান, তাজিকিস্তান ও আজারবাইজানের সমন্বয়ে ইকোনমিক কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সংক্ষেপে 'ইকো' গঠিত হয়েছে। 

ইকোর সাবেক মহাসচিব আব্দুর রহিম গাওয়াহি মনে করেন, আমরা যদি ইকোকে আরো সক্রিয় করতে চাই এবং আমাদের বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র নীতিকে মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে চাই তাহলে এবারের সম্মেলন ভালো সুযোগ হবে। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২৭ 

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।