ইরানের জনগণ ইমামের আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর: রুহানি
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i11083-ইরানের_জনগণ_ইমামের_আদর্শ_ও_লক্ষ্য_বাস্তবায়নে_বদ্ধপরিকর_রুহানি
ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, তার দেশের জনগণ ইমাম খোমেনী (রহ.)’র আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.)’র মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর মাজারে সমবেত হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে দেয়া বক্তব্য একথা বলেন রুহানি।
(last modified 2025-11-11T14:44:42+00:00 )
জুন ০৩, ২০১৬ ১৮:০৫ Asia/Dhaka
  • ইরানের জনগণ ইমামের আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর: রুহানি

ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, তার দেশের জনগণ ইমাম খোমেনী (রহ.)’র আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.)’র মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর মাজারে সমবেত হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে দেয়া বক্তব্য একথা বলেন রুহানি।

তিনি বলেন, ইরানি জনগণ ইসলামি বিপ্লবে বিশ্বাস করে এবং নিজেদের বিপ্লবী পরিচয়ে গর্বিত। এ ছাড়া, তারা এই বিপ্লব সমুন্নত রেখে একে পূর্ণতায় পৌঁছে দিতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ইমাম খোমেনী এই বিপ্লবের সহযোগিতায় ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন যা অন্যান্য মুসলিম দেশের জন্য আদর্শ হতে পারে। ইমামের মৃত্যুর পর গত ২৭ বছরে তাঁর প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও আনুগত্য দিন দিন বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন রুহানি বলেন, একটি চরম কঠিন সময়ে ইমাম ইরানে ইসলামি বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সে সময়ে ইরানের শাহ সরকার দেশ থেকে ইসলামের নাম-নিশানা মুছে ফেলতে চেয়েছিল এবং জনগণের দাবিদাওয়ার প্রতিও ওই সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ ছিল না। সেই চরম দুর্দিনে শাহ সরকার এবং তার পৃষ্ঠপোষক বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান ইমাম খোমেনী (রহ.)।

প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, বিপ্লব পূর্ব সময়ে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো বিশেষ করে আমেরিকা ইরানকে নিজ ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করতো। এ বিষয়টি ইরানের জনগণ মেনে নিতে পারেনি বলেই তারা ইমামের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইসলামি বিপ্লবে যোগ দিয়েছে।

ইসলামি বিপ্লবের আগে মানুষের কাছে মনে হতো শাহ সরকার চিরস্থায়ী এবং তাকে কেউ ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না। অন্যদিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো মনে করতো, তাদের অনুগত দেশগুলোর তালিকা থেকে কেউ বের হয়ে গেলে তাকে অবশ্যই সোভিয়েত ইউনিয়নের অনুগত দেশে পরিণত হতে হবে। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদীদের এই চিন্তাধারাকে ব্যর্থ প্রমাণ করে ইমাম দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেই প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে- দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন।#

পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/৩