দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল
https://parstoday.ir/bn/news/event-i149294-দেশের_জনগণ_পানির_ন্যায্য_হিস্যা_থেকে_বঞ্চিত_মির্জা_ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কারণে বাংলাদেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মে ১৫, ২০২৫ ১৯:১৫ Asia/Dhaka
  • দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কারণে বাংলাদেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

আজ( বৃহস্পতিবার) এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৬ মে ‘ফারাক্কা দিবস’ আমাদের জাতীয় আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যময় দিন। আজ থেকে ৪৯ বছর আগে অবিসাংবাদিত মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারাদেশ থেকে লাখো জনতা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর পানি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল লংমার্চে অংশ নেয়।

ভারতে গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করে অভিন্ন নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার শুরু করা হয়। যার ফলে বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।

ঐ এলাকায় পানিসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা তীব্র আকার ধারণ করেছে।

তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র ও পরিবেশগত মানকে বিবেচনা না করে এবং প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ভারতকে কয়েক দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। কিন্তু সেই বাঁধ অব্যাহতভাবে এখনও পর্যন্ত চালু থাকায় সেটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কারণে এ দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই বঞ্চনা ও দেশের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে জনদুর্দশার আশংকায় বিজ্ঞ ও দূরদর্শী মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল করে ভারত সরকারের নিকট প্রতিবাদ করেন এবং বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আনেন। তখন থেকে ব্যাপক মানববিপর্যয় সৃষ্টিকারী ফারাক্কা বাঁধের বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হতে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আজও ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আন্তর্জাতিক আইন-কানুন ও কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণে নদীর ধারাকে বাধাগ্রস্ত করে একতরফা নিজেদের অনুকূলে পানি প্রত্যাহার বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ নিষ্ফলা উষর ভূমি হয়ে উঠার আলামত ইতোমধ্যেই ফুটে উঠেছে।’

ফখরুল বলেন, ‘ন্যায্য পাওনা আদায়ের সংগ্রামে ১৬ মে ১৯৭৬, মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে জনগণের ঐতিহাসিক মিছিল রাজশাহী থেকে ফারাক্কা অভিমুখে অকুতোভয় সাহসী পদক্ষেপে এগিয়ে গিয়েছিলো। তাই প্রতি বছর ১৬ মে ‘ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস’ যেকোনো অধিকার আদায়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে। আমি ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন সংগঠনের সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।#

পার্সটুডে/জিএআর/১৫