হেলমান্দ নদীর পানির প্রবাহে আর বাধা সৃষ্টি করবে না আফগানিস্তান: ইরান
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i112086-হেলমান্দ_নদীর_পানির_প্রবাহে_আর_বাধা_সৃষ্টি_করবে_না_আফগানিস্তান_ইরান
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহেরাবিয়ান জানিয়েছেন, হেলমান্দ নদীর পানি প্রবাহে আর বাধা সৃষ্টি করবে না আফগানিস্তান। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে তিনি জানান। সমঝোতার আওতায় হেলমান্দ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাবে ইরান।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
আগস্ট ১৮, ২০২২ ১১:৩০ Asia/Dhaka
  • হেলমান্দ নদীর পানির প্রবাহ ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে নেবে না আফগানিস্তান
    হেলমান্দ নদীর পানির প্রবাহ ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে নেবে না আফগানিস্তান

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহেরাবিয়ান জানিয়েছেন, হেলমান্দ নদীর পানি প্রবাহে আর বাধা সৃষ্টি করবে না আফগানিস্তান। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে তিনি জানান। সমঝোতার আওতায় হেলমান্দ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাবে ইরান।

গতকাল (বুধবার) আলী আকবর মেহেরাবিয়ান জানান, আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান হেলমান্দ নদীতে নির্মাণ করা একটি বাঁধ সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে রাজি হয়েছে। এতদিন ওই বাঁধের মাধ্যমে হেলমান্দ নদীর পানির প্রবাহ ঘুরিয়ে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গোদজারে মরুভূমির দিকে নিয়ে যাওয়া হতো, যার কারণে ইরান তার ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল।

মেহরাবিয়ান গত সপ্তাহে আফগানিস্তান সফর করেন এবং এ বিষয়টি নিয়ে তালেবানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সফরে ইরান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে জালানি বিষয়ক সহযোগিতার ব্যাপারেও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।

তিনি জানান, আফগানিস্তানের তালেবান কর্মকর্তারা এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, হেলমান্দ নদীর এক ফোঁটা পানিও গোদজারে মরুভূমি এলাকায় যাবে না।

ইরান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে ১৯৭৩ সালে একটি চুক্তি হয় যার আওতায় প্রতিবছর ইরানের ৮ কোটি ২০ লাখ ঘন মিটার পানি পাওয়ার কথা। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে মার্কিন দখলদারিত্ব থাকার কারণে ইরান হেলমান্দ নদী থেকে এই পানি পাচ্ছিল না।

অবশ্য, তার আগে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন তালেবান সরকার প্রথম হেলমানান্দ নদীর পানি ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়।#

পার্সটুডে/এসআইবি/১৮