ইরানের মেইবুদ শহরের দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন দুর্গ নারিন
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i115326-ইরানের_মেইবুদ_শহরের_দৃষ্টিনন্দন_প্রাচীন_দুর্গ_নারিন
ইরানের ইয়াযদ প্রদেশের মেইবুদ শহরের মরুদ্যানের উপর কয়েক হাজার বছর পরও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে নারিন দুর্গের ধ্বংসাবশেষ। মনে করা হয়, দুই হাজার থেকে ছয় হাজার বছর আগে দুর্গটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি ছিল হযরত সোলাইমান (আ.)-এর এবং এটি নির্মাণ করেছিল জিনেরা।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
নভেম্বর ০২, ২০২২ ১২:৪৮ Asia/Dhaka
  • নারিন দুর্গ
    নারিন দুর্গ

ইরানের ইয়াযদ প্রদেশের মেইবুদ শহরের মরুদ্যানের উপর কয়েক হাজার বছর পরও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে নারিন দুর্গের ধ্বংসাবশেষ। মনে করা হয়, দুই হাজার থেকে ছয় হাজার বছর আগে দুর্গটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি ছিল হযরত সোলাইমান (আ.)-এর এবং এটি নির্মাণ করেছিল জিনেরা।

তবে দুর্গের ভিত্তির মূল উৎস যাই হোক না কেন, আজ যা দেখা যায় তার বেশিরভাগই সাসানি যুগের। দুর্গের প্রাচীনতম ভিত্তিগুলো থেকে বলা যায় যে, এখানে ৪ হাজার খ্রিস্ট-পূর্বাব্দের প্রথম দিকে কোনো বসতি গড়ে উঠেছিল।

দুর্গের ধ্বংসাবশেষের উচ্চতা ভিত্তি থেকে ৪০ মিটার (১৩০ ফুট)। ছাদের উপর থেকে প্রতিটি দিকে ৭০ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। দুর্গটিতে একটি বিশাল আন্ডারগ্রাউন্ড চেম্বারও রয়েছে। সম্ভবত এটি একটি কারাগার ছিল।

কাঠামোটিতে একটি বড় ভূগর্ভস্থ চেম্বারও রয়েছে, যা এখন ধ্বংসস্তূপে ভরা)। সম্ভবত এটিও একটি কারাগার ছিল। চারটি টাওয়ার পুরো আঙিনাকে ঘিরে রেখেছে এবং একটি বড় গেট দিয়ে বড় উঠানে প্রবেশের ব্যবস্থা রয়েছে। কাঠামোটি যুগে যুগে অসংখ্য ভূমিকম্পের শিকার হয়েছে বলে মনে করা হয়।

ঐতিহাসিক সূত্রমতে, সিল্ক রুটের উপর অবস্থিত দুর্গটি সৈন্যরা ব্যবহার করত। এসব সৈন্যরা কাফেলাগুলোকে সশস্ত্র প্রহরায় পার করে দিত। বিনিময়ে তাদের ট্যাক্স পরিশোধ করতে হতো।

দুর্গের উপর থেকে মেইবুদ শহরের আকর্ষণীয় দৃশ্য উপভোগ করা যায়। দুর্গের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা কিভাবে দুর্গের দেয়ালের বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে তা সহজেই উপলব্ধি করা যায়। শহরের চারপাশে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।