সাম্প্রতিক নৈরাজ্যে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে ইরান
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i115984-সাম্প্রতিক_নৈরাজ্যে_অর্থনৈতিকভাবে_ক্ষতির_শিকার_হয়েছে_ইরান
শত্রুদের উস্কানিতে বিভিন্ন শহরে সম্প্রতি দাঙ্গা ও সহিংস ঘটনার কারণে সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও ক্ষতির শিকার হয়েছে ইসলামি এ দেশটি।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
নভেম্বর ১৬, ২০২২ ১৯:৫৫ Asia/Dhaka
  • সাম্প্রতিক নৈরাজ্যে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে ইরান

শত্রুদের উস্কানিতে বিভিন্ন শহরে সম্প্রতি দাঙ্গা ও সহিংস ঘটনার কারণে সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও ক্ষতির শিকার হয়েছে ইসলামি এ দেশটি।

শত্রুদের সৃষ্ট এই নৈরাজ্যের কারণে ইরানে এক দিকে সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে অন্যদিকে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের পরিবেশও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। তবে ইরানে গত কয়েক মাসে অর্থনৈতিক সূচকে উন্নতির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি ৬০ থেকে ৪০ শতাংশে নেমে এলেও বৈদেশিক বানিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে। এ বছর গ্রীষ্ম পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীলতা, বেকারত্বের হার কমে আসা এবং চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি পাওয়া থেকে প্রমাণিত হয় গেল বছর অর্থনৈতিক উন্নতির ধারা বহাল ছিল।

কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে ইরানের বিভিন্ন শহরে দাঙ্গা ও বিশৃঙ্খলার কারণে অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং দ্রুতগতিতে অর্থনৈতিক উন্নতির ধারা মন্থর হয়ে পড়েছে। ইরানের সংসদ মজলিশে শুরায়ে ইসলামির অর্থনৈতিক কমিশনের সদস্য গোলাম রেজা এ ব্যাপারে বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল ও আমেরিকার নেতৃত্বে পাশ্চাত্য বিশ্ব ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের শুরু থেকেই এ দেশটির সরকার ও জনগণের ক্ষতি করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান ইব্রাহিম রায়িসি সরকার যখন অর্থনীতির চাকাকে দ্রুততর করার জন্য বিভিন্ন রকমের পদক্ষেপ নিয়েছে ঠিক তখন তা বানচাল করার জন্য শত্রুরা ইরানে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে উস্কানি দিচ্ছে যাতে ইরান অর্থনৈতিক উন্নতি করতে না পারে।

ইরানে বেকারত্ব হ্রাস ও অর্থনৈতিক উন্নতির অন্যতম চালিকা শক্তি হচ্ছে পর্যটন শিল্প। জানা গেছে বিশৃঙ্খলা শুরুর পর পর্যটকের অভাবে তেহরান প্রদেশের হোটেলগুলোর বেহাল দশা চলছে এবং হোটেলগুলো আবারো করোনা মহামারিকালীন অবস্থায় ফিরে গেছে। ৭০ শতাংশের বেশি হোটেল ও মুসাফির খানার কার্যক্রম সীমীত হয়ে গেছে কিংবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

অব্যাহত দাঙ্গার কারণে শুধু যে পর্যটন শিল্পে ধাক্কা লেগেছে তাই নয় একই সাথে সামাজিক নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয়েছে। অর্থাৎ এই সুযোগে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতাও অনেক বেড়েছে। এক হিসাবে দেখা গেছে ইরানে নৈরাজ্য সৃষ্টির পর ইরাক থেকে মেডিকেল ট্যুরিজমের পরিমাণ প্রায় ৪০ শতাংশ, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ৯০ শতাংশ এবং পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে আসা মেডিকেল ট্যুরিজমের পরিমাণ ৭০ শতাংশ কমে গেছে যার প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। অর্থাৎ ইরান অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদের শিকার।

সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অন্যতম একটি ক্ষতিকর দিক হচ্ছে এর ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে এবং  অর্থনীতির চাকা থমকে যাওয়ায় বেকারত্ব বাড়ছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যে কোনো দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে জাতীয় অর্থনীতির ওপর দীর্ঘ মেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ কারণে ইরানের শত্রুরা এ দেশটির ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে, রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে, প্রচার যুদ্ধ চালিয়ে এবং সাম্প্রতিক দাঙ্গায় উস্কানি দিয়ে ইরানকে এমনভাবে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে যাতে জনগণ আরো বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অন্দোলনে নামে। #     

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।