ইরানে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
ইরানে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
এ উপলক্ষে গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় তেহরানস্থ পার্সিয়ান এভিন হোটেলে ইরানে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, বিভিন্ন চেম্বারের সদস্যবৃন্দ, ইরানের বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, ইরানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, ইরানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, ইরানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তির সম্মানে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রায় ২০০ অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরানের বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থার প্রধান মেহদি যেইগামি। অনুষ্ঠানটি দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রাষ্ট্রদূত মনজুরুল করিম খান চৌধুরী। এরপর প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন।
রাষ্ট্রদূত স্বাগত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধের শহিদগণ ও নির্যাতিত মা-বোনদের প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান এবং তাঁদের সামনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতার নেতৃত্ব, অবদান ও ত্যাগের মহিমা তুলে ধরেন। তিনি একটি স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রম ও তাঁর সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার প্রসার এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র সন্ধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে ইরান ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যামান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দু’দেশের সহযোগিতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থপূর্ণ অবদান রাখছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এরপর, রাষ্ট্রদূত, প্রধান অতিথি ও রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিনী স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের ইরানের ঐতিহ্যবাহী খাবারের পাশাপাশি বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। পুরো অনুষ্ঠানজুড়েই বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক ও বৈশ্বিক অর্জন সংশ্লিষ্ট ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।#
পার্সটুডে/প্রেসরিলিজ/এসএ/১১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।