‘যেকোনো সন্ত্রাসী হামলার বদলা নেয়া হবে’
সিরিয়া ও ইরাকে হামলার বিস্তারিত বিবরণ দিল আইআরজিসি
সিরিয়ায় উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশের [আইএস] আস্তানা এবং ইরাকে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের আখড়ায় সোমবার রাতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি।
এক বিবৃতিতে ওই বাহিনী বলেছে, ইরাকের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কুর্দিস্তান অঞ্চলে মোসাদের আখড়া এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে দায়েশের আস্তানায় মোট ২৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় যেগুলোর প্রত্যেকটি নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে সূক্ষ্মভাবে আঘাত হানে।
তিনটি আলাদা প্রদেশ থেকে একসঙ্গে ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় খুজিস্তান প্রদেশ থেকে সিরিয়ার ইদলিবকে লক্ষ্য করে চারটি এবং ইরাকের কুর্দিস্তানকে লক্ষ্য করে কেরমানশাহ ও পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে থেকে যথাক্রমে চারটি ও সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। সিরিয়ার অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আস্তানায় আরো নয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
আইআরজিসির বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, ইরানে যেকোনো সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি ফোঁটা রক্তের বদলা নেয়া হবে।
ইরানের কেরমান ও রাস্ক শহরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সিরিয়া-ভিত্তিক সন্ত্রাসীদের কয়েকটি আস্তানার পাশাপাশি ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে অবস্থিত ইহুদিবাদী ইসরাইলের একটি গুপ্তচরবৃত্তির আখড়ায় সোমবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরানের কেরমানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় ১০০ জন এবং রাস্কের সন্ত্রাসী হামলায় ১১ জন ইরানি নিহত হয়েছিলেন।
আইআরজিসির বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কুর্দিস্তানের হামলায় মোসাদের আখড়াটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। ওই আখড়া থেকে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে বিশেষ করে ইরানের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হতো। অন্যদিকে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে চালানো হামলায় আল-কায়েদা গোষ্ঠীর সাবেক কমান্ডাার আজহি আমিন নিহত হয়েছে। #
পার্সটুডে/এমএমআই/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।