'আল্লাহর রহমতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে ইহুদিবাদীরা চরম লাঞ্ছনার শিকার হবে'
(last modified Wed, 13 Mar 2024 11:23:01 GMT )
মার্চ ১৩, ২০২৪ ১৭:২৩ Asia/Dhaka
  • আল্লাহর রহমতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে ইহুদিবাদীরা চরম লাঞ্ছনার শিকার হবে
    আল্লাহর রহমতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে ইহুদিবাদীরা চরম লাঞ্ছনার শিকার হবে

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন (মঙ্গলবার) ইরানের রাজধানী তেহরানের ইমাম খোমেনী (রহ.) হোসাইনিয়াতে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর উপস্থিতিতে 'কুরআনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা মাহফিল' অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এই মাহফিলে দেওয়া ভাষণে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতকে 'পবিত্র শিল্প' হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এই অতি মূল্যবান কাজের মূল লক্ষ্য হতে হবে মানুষ তথা সমাজের কাছে কুরআনের অর্থ ও বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং কুরআন নিয়ে গভীর চিন্তা ও উপলব্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। ঐ মাহফিলে গাজার শিশু-কিশোরদের কণ্ঠে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের ভিডিও ক্লিপ প্রচার করা হয়। সেই ভিডিও সর্বোচ্চ নেতাও দেখেছেন। গাজার শিশুদের কুরআন তেলাওয়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, গাজায় আজ দৃঢ়তা ও প্রতিরোধের যে সর্বোচ্চ পর্যায় দেখা যাচ্ছে তা পবিত্র কুরআন গভীরভাবে উপলব্ধি ও নিজেদের জীবনে বাস্তবায়নের ফসল।        

সর্বোচ্চ নেতা বর্তমানে গাজায় যা ঘটছে সেটাকে দুই দিক থেকেই চূড়ান্ত পর্যায়ের বলে বর্ণনা করে বলেন, গাজায় একদিকে হত্যা-পাশবিকতা, জুলুম ও অপরাধযজ্ঞের চরম অবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবার অন্যদিকে সর্বোচ্চ দৃঢ়তা ও প্রতিরোধ দেখা যাচ্ছে।

সর্বোচ্চ নেতার উপস্থিতিতে কুরআন মাহফিল

তিনি গাজায় ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় রেখে শিশু ও কিশোরদের হত্যার মতো নজিরবিহীন অপরাধযজ্ঞকে পশ্চিমা সভ্যতার জন্য কলঙ্কজনক হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, যদিও ইহুদিবাদীদেরকে আমেরিকাসহ পশ্চিমারা অস্ত্রসহ সব ধরণের সাহায্য-সহযোগিতা দিচ্ছে, এরপরও গাজার নজিরবিহীন ধৈর্য ও দৃঢ়তার কারণে শত্রুরা কোনো কিছুই করতে পারেনি। প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রায় ৯০ শতাংশ সক্ষমতা ও সরঞ্জাম অক্ষত আছে। আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে ইহুদিবাদীরা চরম অপদস্থ ও লাঞ্ছনার শিকার হবে।

এই মুহূর্তে গাজাবাসীকে সাহায্য করা মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় দায়িত্ব বলেও মন্তব্য করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন, প্রতিরোধ সংগ্রামীদের শত্রুদেরকে সাহায্য করা সেটা যার পক্ষ থেকেই হোক না কেন তা অবশ্যই হারাম এবং অপরাধ। দুর্ভাগ্যবশত, মুসলিম বিশ্বের কিছু দেশ ও সরকার গাজার মজলুম মানুষের শত্রুদের সাহায্য করছে। ইনশাআল্লাহ একদিন তারা অনুশোচনা করবে এবং এই বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি ভোগ করবে।

কিশোরদের যৌথ ধর্মীয় পরিবেশনা

পার্সটুডে/এসএ/১৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।