আমেরিকা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের প্রবর্তক ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i140574-আমেরিকা_আঞ্চলিক_ও_আন্তর্জাতিক_সন্ত্রাসবাদের_প্রবর্তক_ও_প্রধান_পৃষ্ঠপোষক
পার্সটুডে-জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি নিরাপত্তা পরিষদকে একটি চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠিতে তিনি আমেরিকার ইরান বিরোধী সকল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন: আমেরিকা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের প্রধান প্রবর্তক ও পৃষ্ঠপোষক।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
আগস্ট ১৩, ২০২৪ ১৭:২০ Asia/Dhaka
  • আমেরিকা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের প্রবর্তক ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক

পার্সটুডে-জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি নিরাপত্তা পরিষদকে একটি চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠিতে তিনি আমেরিকার ইরান বিরোধী সকল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন: আমেরিকা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের প্রধান প্রবর্তক ও পৃষ্ঠপোষক।

৮ আগস্ট ২০২৪-এ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে 'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি' বিষয়ক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি রাশিয়ার প্রতিনিধির বক্তব্যের জবাবে, বৈঠকের এজেন্ডার বাইরে গিয়ে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা অভিযোগ তুলে বলেন: ইরান এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দিচ্ছে।

পার্সটুডে আরও জানায়, জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাইদ ইরভানি নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে মার্কিন ওই অভিযোগের ব্যাপারে একটি লিখেছেন। ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন: ইরান এই ভিত্তিহীন অভিযোগকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে এবং মার্কিন প্রতিনিধির ওই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের নিন্দা জানাচ্ছে।

ইরভানি বলেছেন: এটা খুবই হাস্যকর এবং বিব্রতকর যে আমেরিকা এমন সময় ইরানকে অভিযুক্ত করছে যখন সে নিজেই নারী, শিশু ও গণহত্যাকারী ইহুদিবাদী ইসরাইলকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে। নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যা করার জন্য প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র সরবরাহ করে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি রক্তপাত ও সন্ত্রাসকে দীর্ঘায়িত করছে।

জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেছেন: আমেরিকার ওই দ্বিধাহীন মদদের ফলে গত ১০ আগস্ট, ২০২৪ সালে গাজা শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত আল-তাবেয়িন স্কুলে গৃহহীন নিরীহ ফিলিস্তিনী নাগরিকদের ওপর ইসরাইল নির্বিচারে হামলা চালায়। তাদের ওই সাম্প্রতিক অপরাধযজ্ঞে শিশু ও নারীসহ কমপক্ষে ১০০ নিরপরাধ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়।

ইরভানি আরও লিখেছেন: উপরন্তু, সিরিয়ায় তাদের দখলকৃত এলাকায় আন-নুসরা ফ্রন্টের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি আমেরিকার সমর্থন জাতিসংঘ সনদ, নিরাপত্তা পরিষদসহ আন্তর্জাতিক সকল আইন ও প্রাসঙ্গিক নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এর মাধ্যমে এটাও প্রমাণ হলো যে আমেরিকা এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের প্রধান মদদদাতা। এমন এক কালো রেকর্ড যাদের আছে সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্যদের অভিযুক্ত করার অধিকার রাখে না।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত তার চিঠিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রধানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁর এই চিঠিটিকে নিরাপত্তা পরিষদের দলিল হিসেবে নিবন্ধন ও বিতরণ করার জন্য।#

পার্সটুডে/এনএম/১৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।