ইরান ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক গভীর হলে ইসলামী বিশ্বের বৃহত্তর ঐক্য হবে: পেজেশকিয়ান
পার্সটুডে-ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট গতকাল (শুক্রবার) ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সেদেশের সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোকে তাদের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন। ওই বার্তায় তিনি বলেছেন: ইরান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দুই মহান জাতির মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক গভীর হলে মুসলিম উম্মাহ এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ঐক্য ও সংহতি বিস্তারে সাহায্য করবে।
ওই অভিনন্দন বার্তায় পেজেশকিয়ান গুরুত্ব সহকারে বলেছেন:
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান বিশ্বাস করে যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরান ও ইন্দোনেশিয়া-এই দুই মহান রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা ইসলামী উম্মাহর ঐক্য ও সংহতিসহ আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা সম্প্রসারণে অবদান রাখবে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোকে (Joko Widodo) লেখা বার্তায় আরও বলা হয়েছে: দু'দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং অভিন্ন স্বার্থের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ সামর্থ ও ক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় নেন। তিনি বলেন: আমি আশা করি, আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং বন্ধুত্বের শেকড় আরও মজবুত হবে।
ইরান ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
জনবহুল ইসলামি দেশ ইন্দোনেশিয়া বহু বছর ধরে ডাচ ঔপনিবেশিকতার অধীনে ছিল।
১৭ আগস্ট ১৯৪৫ সালে এক ঘোষণার মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা অর্জিত হয়। ওই ঘোষণার পর ডাচ বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামরিক প্রতিরোধের সূচনা হয়। ওই প্রতিরোধের মুখে ১৯৪৯ সালে নেদারল্যান্ড ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়।#
পার্সটুডে/এনএম/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।